আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হল পরিবহণ কর্মীদের ভ্যাকসিনেশন ৷ তারাতলা, সল্টলেক-হাওড়া বাস ডিপো এবং কলকাতা পুরসভার টেন্টে এই ভ্যাকসিনেশনের কাজ শুরু হল। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, দৈনিক ৩০০ জনকে এই ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হচ্ছে৷
পরিবহণ কর্মীদের করোনা যোদ্ধা হিসাবে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। দফতরের তরফে প্রত্যেক বাস সংগঠনকে ড্রাইভার-কন্ডাক্টরদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। সেখানে তাঁদের নাম, লাইসেন্স নম্বর, জেলার নাম, আধার নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য লিখে প্রত্যেক আরটিওর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী বেসরকারি পরিবহণ কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। এদিন দফতরের দায়িত্ব নিয়েই পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, প্ৰথমে কলকাতার পরিবহণ কর্মীদের ভ্যাকসিনেশন শুরু হলেও এরপর জেলাতেও এই কাজ হবে। ড্রাইভার এবং কন্ডাক্টররা ভ্যাকসিন পাবেন। বাস সংগঠনগুলিও রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে করোনা মোকাবিলা কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে। সদস্যদের এলাকায় করোনা নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শুধু পরিবহণ কর্মী নয়, হকারদেরও এই টিকা দেওয়া হবে। যাঁরা খোলা জায়গায় কাজ করছেন। পরিবহণ দফতরের যে সমস্ত বাস ডিপো রয়েছে সেখানে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলবে। কলকাতা ও জেলায় সর্বত্র এটি চলবে।
এদিন দুপুরে নতুন দফতরের দায়িত্ব বুঝে নেন ফিরহাদ হাকিম। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ তিনি ডালহৌসিতে পরিবহণ ভবনে যান। দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কোভিড পরিস্থিতিতে যাতে পরিষেবায় কোনও ঘাটতি না হয় সেদিকে নজর দিতে বলেছেন মন্ত্রী। তবে পরিবহণ নিগমের কর্মীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতেও তিনি বলেছেন দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকদের।