বিগত ১১ই নভেম্বরে কুশিনগর শহরের এক মসজিদে ঘটা বিস্ফোরণের তদন্ত করতে নেমে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এটিএস। চমকে দেওয়ার মতন ঘটনা হল, ঐ ৬ জনের একজন অবসর প্রাপ্ত সেনা জওয়ান ডা. আশফাক। যিনি সেনার মেডিক্যাল কর্পে একজন মেজর ছিলেন। আশফাককে হায়দ্রাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার মূলচক্রী হাজী কুতুবুদ্দিন বিস্ফোরক গুলো মসজিদে রেখে ছিল। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে তিন ব্যক্তির সহায়তায় বিস্ফোরক এবং বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম গুলোকে কুশিনগরে নিয়ে আসা হয় ।
এটিএস জানিয়েছে ঘটনার দ্বিতীয় চক্রী ডা. আশফাক-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হায়দ্রাবাদ থেকে। ডা. আশফাক ঘটনার মূল চক্রী, হাজী কুতুবুদ্দিনের নাতি। ঘটনার তদন্তকারি সংস্থা বলেছে অভিযুক্ত দাদু এবং নাতিকে যৌথ ভাবে জেরা করবে আইবি এবং এটিএস।
১১-ই নভেম্বর হঠাৎ করেই কুশিনগরের এক মসজিদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় পুলিশ ভেবেছিল ব্যাটারিতে শর্টসার্কিটের ফলেই বিস্ফোরণ ঘটে। পরে অবশ্য সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করে বিস্ফোরকের খোঁজ পায় পুলিশ। মসজিদের ইমাম সমেত মোট ৬ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও, হাজী কুতুবুদ্দিন গা ঢাকা দিয়ে দেয়।
মসজিদ থেকে লো-গ্রেড বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, হ্যান্ড গ্রেনেড তৈরির উদ্দেশ্যেই মসজিদের ভিতর বিস্ফোরক গুলো জমা করা হচ্ছিল। ক’দিন আগেই হওয়া বিজনৌর বিস্ফোরণের সঙ্গে এর কোন যোগ আছে কিনা প্রমাণের জন্য বিজনৌর এবং কুশিনগর থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের নমুনা, আগ্রার ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
নাশকতার ছকের কারণ ক্ষতিয়ে দেখছে তদন্তকারি সংস্থা গুলো। রাম মন্দিরের পক্ষে আদালতের রায়ও এই নাশকতার ছকের কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এটিএস থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশের গ্রেপ্তারির পরেও, তারা এই ঘটনাটি কে মোটেই হালকা ভাবে দেখছে না।