ফেসবুকে (Facebook) অন্তত ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এবছরের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিংসার ঘটনার পরে সাময়িক ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট। এবার জানিয়ে দেওয়া হল, সেই নিষেধাজ্ঞা ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে।
ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘‘গুরুতর কারণেই ট্রাম্পের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর করা পদক্ষেপগুলিতে আমাদের বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে ভঙ্গ হয়েছে। সেই কারণে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হল।’’ এখানেই শেষ নয়, আগামী দিনে ট্রাম্প যদি ফের নিয়মভঙ্গ করেন, তাহলে হয়তো তাঁর অ্যাকাউন্ট চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
চলতি নিষেধাজ্ঞার ফলে ২০২২ সালের নভেম্বরে আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে তাঁর দল যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তখন ফেসবুককে ব্যবহার করে প্রচার চালাতে পারবেন না ট্রাম্প। স্বাভাবিক ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের এমন সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ফেসবুক থেকে তাঁকে এভাবে নিষিদ্ধ করাটা সেই সমস্ত মানুষদের জন্য ‘অপমানজনক’, যাঁরা তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে অবশ্য নিজের অ্যাকাউন্ট ফেরত পেয়ে যাবেন ট্রাম্প। তবে তার আগে প্রচার চালানোর জন্য নিজেই একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবেন তিনি, এরকমটা শোনা গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সে সম্পর্কে তাঁর দলের সদস্যরাও সেভাবে জানেন না। টুইটার তাঁকে চিরতরে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল জানুয়ারিতে। এবার ফেসবুকের এহেন সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে ট্রাম্পের অস্বস্তি আরও বাড়ল।
প্রসঙ্গত, ফেসবুক রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে তাদের নীতি বদলাচ্ছে। এতদিন সাধারণ জনতার থেকে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হত বিশ্বনেতা ও বিখ্যাত রাজনীতিবিদদের। কিন্তু সেই নিয়মে বদল আনছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা। তারা জানিয়ে দিয়েছে, টুইটার ও ফেসবুক এবার থেকে রাজনীতিবিদদের বিষয়ে পুরনো নীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। আগে বহুবার রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে নমনীয় থাকার অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। সম্ভবত, সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এবার আরও কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা।