মহানবি হজরত মহম্মদকে নিয়ে দিল্লির প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে অশান্ত বাংলার একাধিক জায়গা। শুক্রবার দিনভর বিভিন্ন জায়গায় এই নিয়ে চলে বিক্ষোভ, অবরোধ। এর জেরে গতকাল বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকল আজও। এই বিক্ষোভের জেরে দূরপাল্লার অন্তত ৪টি ট্রেন আজকে বাতিল করল রেল।
দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর, শনিবার বাতিল করা হয়েছে টাটানগর-হাওড়া ইস্পাত এক্সপ্রেস। তাছাড়া বাতিল হয়েছে আদ্রা-হাওড়া শিরোমণি এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস ও ভদ্রক-হাওড়া এক্সপ্রেস। এদিকে একাধিক ট্রেনের সময়সূচিও বদল করতে বাধ্য হয়েছে রেল। হাওড়া-পুণে দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-তিতলিগড় কান্তাবাঞ্জি ইস্পাত এক্সপ্রেস, হাওড়া-দিঘা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ের পরে ছাড়বে।
প্রসঙ্গত, বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার গ্রেফতারির দাবিতে শুক্রবারও রাজ্যে জারি ছিল অবরোধ। শুক্রবারের নমাজের পর কলকাতা, হাওড়াসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় অবরোধ। যার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তি পোহাতে হয় নিত্যযাত্রীদের। অবরোধ রুখতে একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। গতকাল দুপুরে কলকাতার পার্ক সার্কাস মোড় পথ অবরোধ করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবরোধ। যার জেরে মধ্য কলকাতার যান নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে।
এদিকে হাওড়ার ধূলাগড়েও হয় একই রকম পথ অবরোধ। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা। বর্ধমান শহরেও প্রতিবাদ মিছিল করেন মুসলিমরা। অঙ্কুরহাটিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে রাখেন মুসলিমরা। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেও অবরোধ তোলেননি তাঁরা। বেলা ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে অবরোধ।