স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিগত নয় বছরে দশ রাজ্যে নকশালি হামলায় ৩৭০০ জনের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি ছত্তিসগড়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৮-১৯ এর রিপোর্টে মন্ত্রালয় জানিয়েছে, সিপিআই (মাওবাদী) দেশের বিভিন্ন অংশে থাকা বাম কট্টরপন্থী সংগঠনের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী সংগঠন, আর এই সংগঠন ৮৮ শতাংশের বেশি হিংসাত্বক ঘটনা এবং হত্যার জন্য দায়ি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ মাওবাদীরা রাজ্যের সীমান্ত গুলোতে নিজেদের সংগঠন আরও মজবুত করার কাজে লেগেছে, কিন্তু আপাতত এই কাজে তাঁরা সফলতা অর্জন করতে পারেনি।” রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১০ থেকে দশটি রাজ্যে ১০ হাজার ৬৬০ টি হিংসাত্বক ঘটনার মধ্যে ৩ হাজার ৭৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চরম বামপন্থার কারণে সবথেকে বেশি হত্যার ঘটনা ছত্তিসগড়ে হয়েছে। সেখানে ২০১০ থেকে ২০১৮ এর মধ্যে মাওবাদী দ্বারা করা ৯৭৬৯ হামলায় ১৩৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝাড়খণ্ডে চরম বামপন্থার ৩৩৫৮ টি ঘটনায় ৯৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর বিহারে ১৫২৬ চরম বামপন্থীদের হামলায় ৩৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দশটি নকশাল প্রভাবিত রাজ্য গুলো হল ছত্তিসগড়, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্র প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ আর উত্তর প্রদেশ।
শুক্রবার জারি করা এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, সরকার কর্তৃক জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা শক্তিশালী প্রয়োগের কারণে দেশে বাম চরমপন্থার দমনে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। গত পাঁচ বছরে বাম চরমপন্থীদের হামলার ঘটনা অনেক কমেছে, এছাড়াও ওদের সংগঠন অনেক কমজোর হয়েছে।
চরম বামপন্থীদের হিংসায় ঘাটতি ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে। ওই বছর থেকে হিংসাত্বক ঘটনা ২৬.৭ শতাংশ কমেছে। ২০১৩ সালে ১১৩৬ টি হামলা হয়েছিল, ২০১৮ সালে সেটি কমে ৮৩৩ হয়েছিল। সেই ক্রমে ২০১৩ সালে চরম বামপন্থীদের হামলায় ৩৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল, আর ২০১৮ সালে সেটি ৩৯.৫ শতাংশ কমে ২৪০ জন হয়েছিল।