এক দল আগে ব্যাট করে করল ২৬১ রান। অপর দল সেই রান তাড়া করে দিল ৮ বল বাকি থাকতেই। শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে দু’টি বিশ্বরেকর্ড দেখা গেল। সঙ্গে একাধিক নজিরও তৈরি হল এই ম্যাচে। সব মিলিয়ে ইতিহাস তৈরি হল এই ম্যাচে। ক্রিকেটপ্রেমীরা হয়তো অনেক দিন এই ম্যাচ ভুলতে পারবেন না।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়
অতীতে এত রান তাড়া করে কোনও দল জিততে পারেনি। আগের রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০২৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ২৫৯ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। তৃতীয় স্থানে মিডলসেক্স। সারের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে ২৫৩ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একটি ম্যাচে সর্বাধিক ছয়
এই তালিকায় দাপট শুধু আইপিএলের। প্রথম তিন স্থানেই রয়েছে আইপিএলের তিনটি ম্যাচ। সবক’টাই হয়েছে এ বছর। কলকাতা-পঞ্জাব ম্যাচে মোট ৪২টি ছয় রয়েছে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে হায়দরাবাদ-মুম্বই এবং হায়দরাবাদ-বেঙ্গালুরু ম্যাচ। দু’টিতেই ৩৮টি করে ছয় হয়েছে। ৩৭টি ছয় নিয়ে চতুর্থ স্থানে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে বল্খ লেজেন্ডস এবং কাবুল জোয়াননের ম্যাচ।
আইপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের নিরিখে এটি প্রথম স্থানে। এর আগে ২০২০ সালে রাজস্থান শারজায় ২২৪ তাড়া করে জিতেছিল এই পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। এ বছর ইডেনে কিছু দিন আগে এই রাজস্থানই ২২৪ রান তাড়া করে জিতেছিল কলকাতার বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে ২১৯ তাড়া করে চেন্নাইকে হারিয়েছিল মুম্বই।
আইপিএলে একটি ইনিংসে কোনও দলের সবচেয়ে বেশি ছয়
কলকাতার বিরুদ্ধে পঞ্জাবের ব্যাটারেরা মোট ২৪টি ছয় মেরেছেন। এটি সর্বোচ্চ। এর আগে এই আইপিএলেই বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের ব্যাটারেরা ২২টি ছয় মেরেছিলেন। দিল্লির বিরুদ্ধে এ বারই হায়দরাবাদের ব্যাটারেরা ২২টি ছয় মেরেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই রেকর্ড নেপালের। গত বছর এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে নেপাল ২৬টি ছয় মেরেছিল।
আইপিএলের কোনও ম্যাচে দু’টি ইনিংসের রান মিলিয়ে তৃতীয় স্থানে
এ বছর হায়দরাবাদ বনাম বেঙ্গালুরু ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৪৯ রান হয়েছিল। তার আগে হায়দরাবাদ বনাম মুম্বই ম্যাচে ৫২৩ রান হয়েছিল। শুক্রবার ইডেনে সেই একই রান হল। কলকাতা এবং পঞ্জাবের ইনিংস মিলিয়ে উঠল ৫২৩ রান। তার আগে ২০১০ সালে চেন্নাই বনাম রাজস্থানের ম্যাচে ৪৬৯ রান ১৩ বছর সবার উপরে ছিল।