করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের আপৎকালীন চিকিৎসা কেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীন চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের রাজারহাটের সেকেন্ড ক্যাম্পাসটি নিতে চলেছে রাজ্য। এই ভবনটিতেই আপাতত ‘কোয়ারান্টাইন’ কেন্দ্র তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকার রাজারহাটে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটের নবনির্মিত হাসাপাতালটি নিচ্ছে। সেখানে আধুনিক মানের চিকিৎসা কেন্দ্র করা হবে করোনা আক্রান্তদের জন্য। নবেল করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা কিংবা এই ভয়ের পর্ব মিটে গেলে ভবনটি আবার ফিরিয়ে দেয়া হবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হাতে। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্য স্বাস্থ্য় দফতর এ বিষয়ে কিছু জানে না বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) ডা. দেবাশিষ ভট্টাচার্য।
ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তদের জন্য। সৌদি আরব থেকে আসা মুর্শিদাবাদের এক যুবকের মৃত্যুর পর আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। যদিও পরে জানা যায়, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে তড়িঘড়ি বহরমপুরের পুরনো মাতৃসদন হাসপাতালে মুর্শিদাবাদ জেলায় স্বাস্থ্য দফতর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেসন ওয়ার্ড চালু করেছে।
হুগলি, বর্ধমান, জলপাইগুড়ি-সহ জেলার হাসপাতালগুলিতেও আইসোলেসন ওয়ার্ড চালু রাখা হয়েছে। বর্ধমান, কাটোয়া, কালনা, হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে পূর্ব বর্ধমানের কালনা ও কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও খোলা হয়েছে বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ড।