২০১৮ এর মে মাসে কর্ণাটকের নাটক দেখেছিল গোটা ভারত। যেখানে বিজেপি সবথেকে বড় দল হয়েও সরকার গড়তে পারেনি। আর জনতা দল সেকুলার সবথেকে ছোট দল হয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কুমারস্বামী। কর্ণাটকে বিজেপি সবথেকে বড় দল হয়েও কংগ্রেস আর জেডিএস জোটের সামনে হেরে গেছিল। এরপর জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিল এইচ. ডি কুমারস্বামী। ১৪ মাস সরকার চলার পর অনেক নাটক করে জোট সরকার ভেঙে যায় আর এরপর সরকার গঠন করে বিজেপি।
হরিয়ানাতেও প্রায় একই রকম পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। হরিয়ানায় দুষ্মন্ত চৌটালার পরিস্থিতি এবার কর্ণাটকের কুমারস্বামীর মতই হতে চলেছেন। হরিয়ানায় তৃতীয় বৃহত্তর দল হয়ে উঠে আসছে ‘জেজেপি” (JJP )। হরিয়ানায় এখনো পর্যন্ত গণনা অনুযায়ী কংগ্রেস এবং বিজেপি কেউই সরকার গড়তে পারছে না। দুই দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরে। আরেকদিকে হরিয়ানায় দুষ্মন্ত চৌটালার দল ১০ টি আসন পেয়ে কিংমেকার হতে চলেছেন।
দশ মাস আগে জেজেপি দল গঠন করেছিলেন দুষ্মন্ত চৌটালা। এক বছর হতে না হতেই বিধানসভা নির্বাচনে কিংমেকার হতে চলেছেন তিনি। ২০১৮ সালে ইন্ডিয়ান লোকদল থেকে পারিবারিক বিবাদের কারণে বহিষ্কৃত হন দুষ্মন্ত চৌটালা। এরপর তিনি নিজের সংগঠন মজবুত করে দল গড়েন। ২০১৮ সালেই জননায়ক জনতা পার্টি গঠন করেন দুষ্মন্ত চৌটালা।
নতুন দল খুলেই সবাইকে চমকে দিয়েছেন দুষ্মন্ত চৌটালা। এখনো পর্যন্ত গণনা অনুযায়ী, হরিয়ানায় বিজেপি ৪১, কংগ্রেস ২৯ আর JJP ১০ টি আসনে এগিয়ে আছে। ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ৪৬ টি আসন। এখনো পর্যন্ত গণনা অনুযায়ী কোন দলই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি। এখন JJP যেই দলকেই সমর্থন করবে সরকার তাঁরাই গড়বে।