ছোট আঙারিয়া দিবসে গড়বেতায় সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন৷ তিনি বললেন, অটলবিহারী বাজপেয়ী না দেখলে মাননীয়া আপনার দলের ঘাসটাই অনেক আগে উঠে যেত৷ অন্যদিকে ছোট আঙারিয়া দিবস উপলক্ষে গড়বেতায় এদিন আরও একটি সভা করে তৃণমূল৷ বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার নেতৃত্বে এই সভা হয়৷
সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসকে ছিন্নমূল বলে কটাক্ষ করেন৷ এবং বলেন, এই ছিন্নমূলী তৃণমূলীদের আমফানের টাকা ঝাড়া, বালি খাদানের টাকা ঝাড়া,প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা মারা,একশ দিনের টাকা ঝাড়াদের বলি, যত একই দিনে দু’টো করে সভা করবেন,ততই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে,মোবাইলে লাইভে মানুষ দেখবে যে, তৃণমূলীদের সভায় কত লোক হয়েছে, বিজেপির সভায় কত লোক হয়েছে৷ ভালই করছেন আপনারা৷ এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি আর তৃণমূলে কাঁটা ফুটেছে,লাফাচ্ছে ৷ ৩০ মিনিটের বক্তৃায় ২৯ মিনিট আমার বিরুদ্ধে৷ ওরা আমাকে বলছে, মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতক আমি গডসের দলে গেছি। আমি বলছে চাই, সেইসময় ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ি যদি সেইদিন দরজা না খুলে দিতেন, তাহলে আপনার দলে ঘাসটাই উড়ে চলে যেত। বিজেপি গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের প্রতিষ্ঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। ২০০৬ সালে ওনার অনশন ভাঙার জন্য কেউই আসেনি, এসেছিলেন রাজনাথ সিং। তার শরবৎ খেয়ে অনশন ভেঙেছিলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি,২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি ছোট আঙারিয়া গ্রামে তৃণমূল নেতা বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে চড়াও হয়ে হার্মাদরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। হার্মাদদের হামলায় অনেকে শহিদ হয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর রাতারাতি গোটা রাজ্যের মানুষের সামনে চলে আসে ছোট আঙারিয়ার নাম। তারপর থেকে প্রতি বছরই ৪ জানুয়ারি শহিদদের স্মরণে করা হয়৷