শ্রীকৃষ্ণজী অধিকারী ছিলেন না


মােতলগজীকে আমি প্রথম দেখি ১৯৮৪ সালে। তখন আমি বুনিয়াদপুর খণ্ড কার্যবাহ। সায়ম্ সঘস্থান। মাঠে ছিপছিপে জল ও কাদা। সেই মাঠেই তিনি পুরাে সময় ছিলেন। কোনাে প্রতিক্রিয়া নেই। পরদিন ধুমপাড়া গ্রামের শাখায় যাবাে। বললাম সাইকেল চালাতে পারেন কি না। উনি রাজি হলেন। রাস্তা ভালাে ছিল না। শাখা ও বৈঠক সেরে কিছুটা চালিয়ে , বেশিটা হেঁটে পাকা রাস্তায় উঠলাম। বুঝলাম এটা করা উচিত হয়নি। তার কিন্তু হাসি মুখ। তাঁর নাম বিভ্রাট ছিল। কেউ মােতলাগজী, কেউ মতলগজী, কেউ মতলবজী, কেউ মতলব বলতেন। সবেতেই তিনি খুশি ছিলেন। তার মুখে কখনাে হতাশাব্যঞ্জক কথা শুনিনি। আমাদের ঘাটতিকে উনি পূরণ করার চেষ্টা করতেন। কম কথা বলতেন, কিন্তু দু’চোখ সমানে কথা বলতাে ও অনুধাবন করতাে। আমি ৩৫ বছর ধরে প্রচারক, জীবনে অনেক দেবতুল্য অধিকারীর সান্নিধ্যে এসেছি, কিন্তু কখনাে মােতলগজীকে অধিকারী মনে হয়নি। আপনজন ভেবে সব কথা বলতে পারতাম। তার হৃদয় স্পর্শ করা বহু উদাহরণ আমি সবাইকে বলি। লিখতে গিয়ে মনে হচ্ছে উনি দু’চোখে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। তাকে আমার প্রণাম।
গৌতম কুমার সরকার
(লেখক বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দুই বঙ্গের কার্যকর্তা)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.