দেশে ক্রমাগত বাড়ছে হিংসার ঘটনা। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। দেশের ১৩ বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ ভাবে একটি চিঠি লিখেছেন এই প্রেক্ষিতে। আর সেই চিঠির জবাবে এবার বিজেপি পালটা তোপ দাগল বিরোধীদের। শনিবার ১৩টি বিরোধী দলের নেতারা দেশে ঘৃণাত্মক বক্তৃতা এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাম্প্রতিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি জনগণকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানান। আর এই চিঠি প্রকাশের পরই বিজেপি অভিযোগ করে, কংগ্রেস ‘ঘৃণার বীজ বপণ’ করছে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘এগুলো (বিরোধীদের অভিযোগ) ভিত্তিহীন। বিরোধী দল দেশে বিদ্বেষের বীজ বপণ করছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। রাজস্থানের সহিংসতার ঘটনা দেখা উচিত সোনিয়া গান্ধীর। সেখানকার কংগ্রেস সরকার কীভাবে দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে তা দেখা উচিত তাদের। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে সহিংসতার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। গত বছরে রাজস্থানে এমন ৬০টিরও বেশি ঘটনা ঘটেছে।’
এর আগে গতকাল দেশের ১৩জন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী নেতৃত্ব যৌথ চিঠিতে প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই হিংসার ঘটনায় নীরব কেন? উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, কর্ণাটক সহ বিভিন্ন রাজ্যে রাম নবমী উপলক্ষ্যে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে চিঠিতে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নীরবতায় আমরা হতবাক। বিদ্বেষের বিরুদ্ধে তিনি কোনও কথা বলছেন না। ব্যক্তিগত সশস্ত্র বাহিনী সরকারি মদত পাচ্ছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে হিজাব নিষিদ্ধ নিয়ে বিতর্ক, নবরাত্রিতে আমিষ খাবার নিষিদ্ধের প্রসঙ্গও তোলা হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যেভাবে খাবার, পোশাক, বিশ্বাস, উৎসব, ভাষার ক্ষেত্রেও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করছে শাসক। সমাজের মেরুকরণের জন্য এসব করা হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।