যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের অগস্টে র্যাগিংয়ের জেরে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনার পরে এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জনমানসে চূড়ান্ত বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। সেই আবহে এ বারও ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে পড়ুয়াদের সাফল্য ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ বার যে সব পড়ুয়া ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশ চাকরি পেয়েছেন। প্লেসমেন্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শমিতা ভট্টাচার্য শনিবার এই তথ্য জানিয়েছেন। দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি বার্ষিক ৫৭ লক্ষ টাকার প্যাকেজ পেয়েছেন চার জন। একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এই প্যাকেজ দিচ্ছে। ওই চার পড়ুয়ার মধ্যে তিন জন কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের এবং এক জন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের। তাঁরা হলেন— কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সায়ন আচার্য, দেবধৃতি রায়, অরিত্র দত্ত এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অরিন্দম দে। বিদেশে ভারতীয় মুদ্রায় বছরে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার প্যাকেজ পেয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এক পড়ুয়া। পাশাপাশি, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, মেটালার্জি, সিভিল, ইনস্ট্রুমেন্টেশন-সহ ‘কোর’ বিষয়গুলির পড়ুয়াদের প্লেসমেন্টও খুব ভাল হয়েছে বলে জানান শমিতা। সূত্রের খবর, মেকানিক্যাল, কনস্ট্রাকশন এবং ইনস্ট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ১০০ শতাংশ পড়ুয়াই চাকরি পেয়েছেন। ৯৫ শতাংশ বা তারও বেশি প্লেসমেন্ট হয়েছে সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে।
সাধারণত, বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের পড়ুয়ারা উচ্চতর শিক্ষার দিকে যান। শমিতা জানান, এঁদের মধ্যে ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে অংশ নেওয়া অধিকাংশ পড়ুয়াই চাকরি পেয়েছেন। ভূতত্ত্ব বিভাগ থেকে প্লেসমেন্ট হয়েছে ৮০ শতাংশ। গত বছর এই বিভাগে প্লেসমেন্ট হয় ৯৩ শতাংশ। শমিতার ব্যাখ্যা, ‘‘শিল্প ক্ষেত্রে এ বার প্লেসমেন্টের অবস্থা আশাব্যঞ্জক নয়। সেই তুলনায় যাদবপুর নিজের ধারা বজায় রেখেছে।’’
অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত বলেন, ‘‘ছাত্রেরা আমাদের সম্পদ। রয়েছেন যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকেরাও। দুইয়ে মিলিয়েই সাফল্য আসে। এ বারও তা হয়েছে।’’