হিজাব বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ ইরান। নতুন করে ২৩টি শহরে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। গভীর রাতে আয়াতুল্লা রুহুল্লা খোমেইনির বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল বিক্ষোভকারীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল আগুন লাগানোর ভিডিও।
১৯৭৯ সালে ইরানে শুরু হয় ‘ইসলামিক বিপ্লব’। সে দেশের ধর্ম-সংস্কৃতি ত্যাগ করে ইসলামকে বেছে নেয় ইরানিরা। সেই আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন আয়াতুল্লা রুহুল্লা খোমেইনি। কিন্তু এবার ইরানে উল্টো হাওয়া। মোল্লাতন্ত্রের অবসান চাইছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। আর সেই বিপ্লব যখন মধ্যগগনে ঠিক তখনই খোমেইনির বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল।
যদিও বাড়িটা খোমেইনির হলেও তিনি এখন ওই বাড়িতে থাকেন না। গত তিরিশ বছর ধরে সেটি একটি সংগ্রশালা হলেও এই বাড়িতেই ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন ওই নেতা। জানা গিয়েছে, বাড়িটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। যদিও এক সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, তেমন কিছু বড় হামলা এখানে হয়নি। কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিদ্রোহের সূত্রপাত বছর বাইশের মাহসা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে। নীতি পুলিশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে। অভিযোগ, পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। তাতেই অসুস্থ হন তিনি। যদিও পুলিশের দাবি ওই তরুণীকে মারধর করা হয়নি। গ্রেপ্তারের পরে অসুস্থ হন তিনি। আক্রান্ত হন হৃদরোগে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মাহসার মৃত্যুর পর থেকেই শুরু হয় আন্দোলন। রাজপথে নেমে আসে কাতারে কাতারে মানুষ।