হাড়হিম পাকিস্তান! সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে কুপিয়ে খুন করল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে, পাকিস্তানের পঞ্জাবের ডাস্কায় একটি গ্রামে। নিহত মহিলার বাবা পুলিসকে বলেন, ‘আমার মেয়েকে প্রথমে বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তারপর ধারালো ছুরি ব্যবহার করে তাকে ২৫ টুকরো করা হয়।’ এই ঘটনায় ইতোমধ্যেই চারজনকে পুলিস হেফাজতে নিয়েছে।
মৃত মহিলার নাম জাহরা কাদির। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত মাসের জাহরাকে তাঁর শাশুড়ি, ননদ ও ভগ্নিপতি মিলে খুনে করে। খুন করে তারা জাহরার দেহ মাংস কাটার ছুরি দিয়ে ২৫ টুকরো করা হয়। ব্যাগে ভরে সেগুলিকে খালে ফেলে দেওয়া হয়। জাহরার বাবা আরও জানিয়েছে যে, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর সন্দেহ করত। তিনি নাকি কারোর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। এবং তাঁর সন্তান অবৈধ। জাহরার নামে এ-ও গুজব উঠেছিল, তিনি কারোর সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর গর্ভে তাদের ছেলের সন্তান নেই। কারণ তাদের ছেলে বিদেশে থাকেন। এই খবর রটা মাত্রই জাহরাকে খুন করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
জানা গিয়েছে, জাহরার শাশুড়ি তাঁর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং মাথা কেটে ফেলে। ২০২০ সালে ডাস্কার কোটলি গ্রামের বাসিন্দা কাদিরের সঙ্গে বিয়ে হয়। তবে কাদির কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। পুলিস কাদিরের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারেনি।