বাংলায় ডেল্টা প্লাসের হদিশ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক বাংলায় ডেল্টা প্লাসের অস্তিত্বের কথা জানালেও রাজ্যের তরফে তা অবশ্য অস্বীকার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকার মধ্যে ২০টিতে হদিশ মিলেছে নয়া এই ভ্যারিয়েন্টের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, করোনায় আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করে দেশের ৮৬ জনের মধ্যে বাংলার তিন জনের শরীরে ডেল্টা প্লাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। তবে ওই তিন জন কোন জেলার বাসিন্দা, তা অবশ্য জানায়নি কেন্দ্র। অন্যদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের এ ওয়াই ৩ উপশাখাকেও ডেল্টা প্লাসের অন্তর্গত করা হয়েছে। যদিও এই উপশাখাটি তেমন কিছু তাৎপর্যপূর্ণ নয়। গত ১৭ জুলাই পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যে এই রকম একটি নমুনাই পাওয়া গিয়েছে যাতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের এই উপশাখা ছিল। একথা বলা যেতেই পারে, গত দু’মাসে বিভিন্ন রাজ্যে যে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে, সেগুলি আর বাংলা থেকে পাওয়া নমুনা কিন্তু এক নয়। ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের সবচেয়ে বেশি অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাডুতে। মহারাষ্ট্রে ৩৪, মধ্যপ্রদেশে ১১ ও তামিলনাডুতে ১০ জনের দেহে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে।
এই প্রসঙ্গে ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানান, ডেল্টা প্লাস যেখানেই পাওয়া যাক না কেন, তার অস্তিত্ব মেলাটাই খুব উদ্বেগের বিষয়। কারণ, এই ধরনের ভ্যারিয়েন্টর মধ্যে অ্যান্টিবডি নিউট্রালাইজের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।