পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে টোটোয় করে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, ধৃতের নাম সাহিরুদ্দিন চৌধুরী।

দাদার বন্ধু! গত কয়েকদিন ধরে ফোনেও কথা হত। বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়ে গিয়েছিল বছর সতেরোর কিশোরী। ‘ধর্ষিতা’ হয়ে বাড়ি ফিরল সে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আর একজন পলাতক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়়াল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে।

জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম সাহিরুদ্দিন চৌধুরী। বাড়ি, ভাতারের বলগোনা গ্রামে। নির্যাতিতা কিশোরীর মামার দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফোনে ভাগ্নিকে ফোন করে ডাকে সাহিরুদ্দিন। সঙ্গে ছিল তার বন্ধু শেখ ফজল। তিনজনে মিলে টোটো করে ঘুরতে দিয়েছিল। তারপর? স্থানীয় আমিরুণ গ্রামের কাছে একটি নির্জন মাঠে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে সাহিরুদ্দিন ও ফজল ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

পুলিস সূত্রে খবর, মেয়েটিকে মাঠে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। কোনওমতে পায়ে হেঁটে ভাতার বাজারের কাছে এসে পৌঁছয় নির্যাতিতা। স্থানীয় এক বাসিন্দাকে গোটা ঘটনাটি খুলে বলে সে। এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়। নির্যাতিতা কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুলিস। রাতেই থানায় সাহিরুদ্দিন চৌধুরী ও শেখ ফজলের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মামা। সাহিরুদ্দিনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে, শেখ ফজল পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.