প্রবল বেগে পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় তউকতে (Cyclone Tauktae )। শনিবার বিকেল পর্যন্ত পূর্ব মধ্য আরব সাগরে অবস্থান করেছে এটি। এই সাইক্লোন মঙ্গলবার গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা। ইতিমধ্যেই গুজরাট ও দিউকে এ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে রবিবার পর্যন্ত কেরল, কর্ণাটক ও গোয়া উপকূলে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার বিকেল থেকে মুম্বইও ভারী বর্ষণের সাক্ষী থাকবে।
শনিবার রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে এই ঘূ্র্ণিঝড় উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে যাত্রা শুরু করেছে। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার। গোয়া থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে এটি। মুম্বই থেকে রয়েছে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণ পশ্চিমে। গুজরাঠ থেকে ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণ পশ্চিমে রয়েছে তউকতে। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, সাইক্লোন তউকতে আগামী ১২ ঘণ্টায় এটি শক্তি বাড়িয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর সেটি উত্তর- উত্তর পশ্চিম দিকে রওনা দিয়ে মঙ্গলবার পৌঁছবে গুজরাটে। পোরবন্দর ও নালিয়ার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে।
পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর (NDRF) ৫০টি দলকে তৈরি রেখেছে। কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের জন্য ৫টি দলে সদস্যদের ভাগ করা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রক ও এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কীভাবে ঘূর্ণিঝড় কবলিত অঞ্চলগুলির মানুষদের এই পরিস্থিতিতে সুরক্ষিত করা যায় তা নিয়ে হয় বৈঠক।
তউকতের কারণে মহারাষ্ট্রের উপকূলে রত্নগিরি জেলায় শনিবার বিকেল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। পুনে আবহাওয়া দপ্তরের ক্লাইমেট রিসার্চ অ্যান্ড সার্ভিসের প্রধান SID কে এস হোসালিকার এ কথা জানিয়েছেন। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জারি করা হয়েছে ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’। অর্থাৎ মহারাষ্ট্রের পশ্চিমে কোঙ্কন উপকূল এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবি ও সোমবার কেলাপুর এবং সাতারায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। কেরলের কোচি উপকূল থেকে মানুষকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। রাজ্যের একাধিক এলাকায় জারি হয়েছে ‘রেড অ্যালার্ট’।