গত এপ্রিল মাসের তুলনায় কমল জিএসটি বাবদ কেন্দ্রের আয় । শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক মাসে কেন্দ্র ১ লক্ষ ২ হাজার ৭০৯ কোটির জিএসটি আদায়ে সক্ষম হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে কেন্দ্রের গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স আদায়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৪১ হাজার কোটি টাকা। সম্ভবত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণেই এই হ্রাস।
করোনার প্রথম ঢেউ ধাক্কা মারার পর দেশজুড়ে জারি হওয়া লকডউনের জেরে তলানিতে ঠেকেছিল কেন্দ্রের পণ্য ও পরিষেবা কর আদায়ের পরিমাণ। তবে বিধিনিষিধ শিথিল করে অর্থনীতির চাকা ফের গড়াতে শুরু হলেই তা নতুন করে বৃদ্ধি পেতে থাকে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় দেশের প্রায় সব রাজ্যে জারি হওয়া বিধিনিষেধের জেরে গত মাসের তুলনায় এই মাসে অনেকটাই কমল কেন্দ্রের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ। শনিবার কেন্দ্রীয় তরফে একথা জানানো হয়েছে মে মাসে জিএসটি বাবদ সরকারের কোষাগারে ঢুকেছে ১ লক্ষ ২ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রের ভাগে জমা পড়েছে ১৭ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। রাজ্যগুলি থেকে জমা পড়েছে ২২ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। আমদানিকৃত পণ্যের উপর জিএসটি থেকে আয় ৫৩ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, গত মার্চে জিএসটি বাবদ আয় ছিল ১ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে পরের মাসে একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল আয়। আয়ের অঙ্ক ছিল ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ শতাংশের হিসেবে ১৪ শতাংশ বেড়েছিল আয়। যা জাগিয়েছিল আশা। কিন্তু মে মাসে তা ফের কমল। তবে কমলেও গত আট মাস ধরেই জিএসটি বাবদ কেন্দ্রের আয় ১ লক্ষ কোটি টাকার উপরেই রয়েছে। এর থেকে পরিষ্কার ইঙ্গিত মিলছে ভারত ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছে।
কেন্দ্র আগেই জানিয়েছিল, ভুয়ো বিলের উপরে নজরদারি থেকে সমস্ত নথির যথাযথ হিসেব মিলিয়ে নেওয়ার মতো নানা পদক্ষেপের ফলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি সামগ্রিক ভাবে জিএসটি দফতরের পাশাপাশি আয়কর দফতর ও শুল্ক দফতরের কড়া ভাবে নজরদারি চালানোর সুফলের কথাও বলা হয়েছে।