সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী ফের বললেন, মাননীয়ার ঘরেও পদ্ম ফুটবে। এর আগে উত্তর ২৪ পরগণার খড়দায় প্রথম এই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। সোমবার তমলুকের মানিকতলায় জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও এর সভা মঞ্চ থেকে একই হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, এবার সময়ও বেধে দিলেন।
এই সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগের কড়া জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে ঘুষখোর বলার অভিযোগের উত্তরে বলেন, নারদা কান্ডের টাকা তৃণমূলেরই কেডি সিং, ম্যাথুজের মাধ্যমে দিয়েছিল অভিষেকের নির্দেশে। নারদা কান্ডে তৃণমূলের সুব্রত মুখার্জি থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় নেতা জড়িত, তাদের কি হবে?
তিনি বলেন, আমি যদি ঘুষখোর হই তাহলে আমার পায়ে ধরতে এসে ছিলি কেন? নাম না করে করে তিনি অভিষেককে তোলাবাজ ভাইপো সহ ফেরেববাজ, চিটিংবাজ বলেন। অভিষেক এর এমবিএ এবং মমতার ডক্টরেট ডিগ্রি জাল বলে তিনি উল্লেখ করেন। সেই কারণে দুজনেই সেই ডিগ্রী এখন লেখেন না বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন যে অভিষেককের তোলাবজির টাকা বিদেশের একটি ব্যাংকে জমা হয়। ম্যাডাম নারেলা নামে কেউ প্রতিমাসে ৩৬ লক্ষ টাকা জমা দেন এই একাউন্টে। কে এই ম্যাডাম নারেলা তার পরিচয় তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মঞ্চ থেকে বলবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। বিদেশেরসেই ব্যাংকের নাম এবং ব্রাঞ্চের নাম তিনি মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন।
শুভেন্দু আজ আরো একদফা সুর চড়িয়ে বলেন আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যে মাননীয়ার ঘরেও পদ্মফুল ফুটবে।
এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে এসে শুভেন্দু অধিকারী পুলিশকেও কড়া ভাষায় বলেন যে এখনো না শোধরালে ভোটের পরে পস্তাতে হবে। শুধু বদলি নয় কঠিন শাস্তি হতে পারে। সাসপেন্ড করা হবে ফাইল রেডি করা হচ্ছে বলে তিনি শাসানি দেন পুলিশকে। তিনি আরো বলেন এই ভাবে সরকারকে সাহায্য করে সিপিএমকে জেতানো যায়নি। তৃণমূলকে জেতানো যাবেনা।