কাশ্মীরীদের নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ। পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ ফারহাতুল্লা বাবর একটি ভিডিও টুইট করেছেন। তাতে মুশারফকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “কাশ্মীরীরা পাকিস্তানে এসে ট্রেনিং নেয়। তারপর ভারতে গিয়ে ওদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে।”
এই ভিডিওর সত্যতা দ্য ওয়াল যাচাই করেনি। তবে ইতিমধ্যেই এই ক্লিপিং নিয়ে হইহই পড়ে গিয়েছে। মুশারফ অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান। পাক সেনার মেজর জেনারেল ছিলেন। ওই ভিডিওতে সাতের দশকের শেষের দিকের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। কী ভাবে মুজাহিদিনকে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হল, কী ভাবে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত, সে সব কথাও অকপটে বলেছেন তিনি।
মুশারফ ওই ভিডিওতে বলেছেন, “জালালউদ্দিন হাক্কানি, ওসামা বিন লাদেন আমাদের হিরো।” তাঁর কথায়, “কাশ্মীরীরা যখন পাকিস্তানে আসে, আমরা তাদের বরণ করে নিই। তারপর তারা প্রশিক্ষণ নেয়। আমরা অস্ত্র তুলে দিতাম তাদের হাতে।” লাদেন, হাক্কানিদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিষাদ ঝরে পড়েছে মুশারফের গলা থেকে। তিনি বলেছেন, “লাদেন, হাক্কানিরা ছিল হিরো। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন তারাই ভিলেন হয়ে গেছে।”
মুশারফের এই কথা শুনেই অনেকে বলছেন, এটা থেকেই স্পষ্ট, সন্ত্রাসবাদ আসলে পাকিস্তানের মজ্জায় ঢুকে গিয়েছে। পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তাঞ্চল এ কথা ভারত একাধিকবার আন্তর্জাতিক দরবারে বলেছে। এমনকি পাকিস্তান আর্মিও যে সন্ত্রাসবাদীদের সরাসরি সাহায্য করে সে ব্যাপারেও রাষ্ট্রপুঞ্জে দস্তাবেজ জমা দিয়েছে নয়াদিল্লি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলার পর একথা আরও জোরালো ভাবে তোলা হয়েছে। আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে।
যতবার ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, ততবার অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। কিন্তু এই ভিডিও দেখে অনেকেই বলছেন, পাকিস্তানের সিস্টেম টাই সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে।