এখনও দু’সপ্তাহও হয়নি সরকারি ভাবে কেন্দ্রল শাসিত অঞ্চল হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, সাবেক জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের লাদাখ বাদ দিয়ে বাকি অংশ। স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে সরকার পদক্ষেপও করছে। এরই মধ্যে এই অঞ্চলের ১ লক্ষ ৩০ হাজার বাসিন্দার পেনশন মঞ্জুর করলেন উপরাজ্যপাল গিরীশচন্দ্র মুর্মু।
এক সরকারি আধিকারিক জানয়েছেন, এই এক লক্ষ তিরিশ হাজারের তালিকায় রয়েছেন প্রবীণ নাগরিক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীরা। নিবিড় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি (আইএসএসএস) এবং জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের (এনএসএপি) অধীনে এই পেনশন দেওয়া হবে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির পেনশন কী অবস্থায় আছে তা খতিয়ে দেখতে গিরিশচন্দ্র মুর্মুর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়।
সমাজকল্যাণ বিভাগের কমিশার সেক্রেটারি মনোজকুমার দ্বিবেদী জানান, নিবিড় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের অধীনে বর্তমানে ৬ লক্ষ ১২ হাজার ৯৫০ জন সুবিধাভোগী আছেন। তবে তিন লক্ষের বেশি আবেদন এখনও ঝুলে রয়েছে। তিনি জানান, নতুন করে এক লক্ষ তিরিশ হাজার জনের নাম যোগ হওয়ায় এখন সুবিধাভোগীর সংখ্যা হবে ৭ লক্ষ ৪২ হাজার ৯৫০।
এই প্রকল্পের অধীনে যাঁরা আসতে পারেন, আগামী অর্থবর্ষের মধ্যে যাতে তাঁদের ১০০ শতাংশই এসে যান, তা নিশ্চিত করতে বিভাগীয় আধিকারিকদের মুর্মু নির্দেশ দিয়েছেন যাকে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
যাঁরা অতি দরিদ্র তাঁরাই যাতে পেনশনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পান, তা নিশ্চিত করতে চান উপরাজ্যপাল মুর্মু। এ জন্য তিনি মাঠে নেমে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আধিকারিকদের। এ ব্যাপারে গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যদর সহায়তা নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন, যাতে যাঁদের একান্ত প্রয়োজন আগে তাঁরা মাসে এক হাজার টাকা করে পেনশন পেতে পারেন।
পেনশনের টাকা যাতে সরাসরি সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায় (ডায়রেক্ট ট্রান্সফার বেনিফিট), তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন উপরাজ্যপাল গিরিশচন্দ্র মুর্মু।
এ বছর ৫ অগস্ট সংবিধান থেকে অস্থায়ী ৩৭০ ধারা বিলোপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে জানিয়ে দেয়, অক্টোবর মাসে রাজ্যটিকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হবে – জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। কেন্দ্রীয়সাসিত অঞ্চলে পরিণত হওয়ার পরে জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম উপরাজ্যপাল নিযুক্ত হন গিরিশচন্দ্র মুর্মু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন সেরাজ্যের প্রধানসচিব ছিলেন মুর্মু।