যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের ওপর অত্যাচারের কথা স্বীকার করে সরব হলেন সেখানকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কমিউনিটি রেডিও’ বিভাগের আহ্বায়ক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী।
শনিবার তিনি এ ব্যাপারে তাঁকে লেখা বুদ্ধদেব জানা নামে এক ছাত্রের চিঠি যুক্ত করে লিখেছেন, “আমার বিভাগের ছাত্র বুদ্ধদেব জানা। অনেকদিন ধরে আমাদের ছাত্রদের ওপর অত্যাচার চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানোর পরেও অপরাধীদের কোনও শাস্তি হয়নি। শুধু ছাত্রর হোস্টেল বদলে খান্ত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিন। যদি অপরাধী ছাত্রদের মাথায় কারো হাত থাকে তারও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
শুধুমাত্র একটা নয়, একের পর এক উদাহরণ আমি দিতে পারি। প্রমাণ ছাড়া আমি কথা বলি না, প্রাক্তন ছাত্ররা অনেকেই দিনের পর দিন হোস্টেলে থেকেছেন। যারা সত্যি প্রয়োজনে ছিলেন তাদের অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষক শিক্ষিকারা পাশে ছিলেন। অনেকই লিখছেন হোস্টেলে কোনও ঘটনা ঘটলে শিক্ষকরা ছুটে যাননি। আমি নিজে বহুবার গেছি, যাঁর সাক্ষী অনেকেই।
কিন্তু যখন র্যাগিংয়ের ঘটনা এসেছে, অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে জানানোর পরও তার কোনও সুরাহা হয়নি। বললাম তো কারা কী ভাবে মদত দিচ্ছেন, সবটাই আমাদের জানা। শেষ দেখে যখন ছাড়ব, তখন প্রমাণ দিয়েই শেষ দেখবো। বুদ্ধদেবের অনুমতি নিয়েই এই পোস্ট দিলাম।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পড়ুয়া বুদ্ধদেব বিশেষভাবে সক্ষম। পরীক্ষার জন্য রাইটার খুঁজতে ২০২২-এর ৭ নভেম্বর একজনকে খুঁজতে পাশের ভবনে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে অপমানিত হন। পরদিন বুদ্ধদেব বিষয়টি ইমনবাবুকে লিখিত আকারে বিশদে জানান। ইমনবাবু সেই চিঠি তৎকালীন উপাচার্য সুরঞ্জন দাশকে বিবেচনার জন্য পাঠান। সব প্রমাণ ইমনবাবু শনিবার শেয়ার করেছেন সামাজিক মাধ্যমে।