ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) এর জঙ্গি দমন শাখার প্রধানদের রাষ্ট্রীয় সন্মেলন চলছে দিল্লীতে। এই অনুষ্ঠানে দ্রিহ রাজ্য মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, এনআইএ ডিজি ওয়াইসি মোদী, প্রাক্তন আইবি বিশেষ নির্দেশক আর নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল আরএন রবি উপস্থিত ছিলেন। সন্মেলনে ডিজি যোগেশ চন্দ্র মোদী বলেন, এখনো পর্যন্ত আইএসআইএস এর সাথে যুক্ত মামলায় ১২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও ১২৫ জনের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
সন্মেলনকে সম্বোধিত করে এনএসএ অজিত দোভাল বলেন, ‘এনআইএ কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভালো প্রভাব সৃষ্টি করতে পেরেছে। উনি এও বলেন, এনআইএ অন্যান্য এজেন্সির তুলনায় বেশি কাজ করেছে কাশ্মীরে। যদি কোন অপরাধীকে অন্য দেশ সমর্থন করে, তাহলে সেটা আমদের কাছে আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। অনেক দেশ জঙ্গিদের সমর্থন করাতে সিদ্ধহস্ত।”
অজিত দোভাল আরও বলেন, ‘আজ পাকিস্তানে আর্থিক পদক্ষেপের কারণে এত চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে পাকিস্তান এত চাপে পড়ে গেছে যে, সেটা অন্যান্য পদক্ষেপে করা সম্ভব ছিলনা। সন্ত্রাসবাদের সাথে লড়াইয়ে সবথেকে বড় বাধার মধ্যের একটি হল কেন্দ্রীয় সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এজেন্সির অভাব।”
এনআইএ-এর ডিজি যোগেশ চন্দ্র মোদী সন্মেলনে বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত আইএসএস এর সাথে জড়িত মামলা ১২৭ জনকে গেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে তামিলনাড়ু থেকে ৩৩, উত্তরপ্রদেশ থেকে ১৯, কেরল থেকে ১৭ আর তেলেঙ্গানা থেকে ১৪। আমরা এটা খতিয়ে দেখেছি যে, জামাত উল মুজাহিদ্দিন বাংলাদেশ বিহার, মহারাষ্ট্র, কেরল আর কর্ণাটকে নিজেদের গতিবিধি বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা ওই সংগঠনের ১২৫ জন সন্দেহভাজনের নামের তালিকা তৈরি করেছি।”