জাতীয়তার মন্ত্রে দীক্ষিত আধুনিক ভারতের নতুন প্রজন্ম দেশদ্রোহীদের ক্ষমা করবে না

ভূস্বর্গে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হাতে কাশ্মীরিয়তের গর্বিতরা পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বলয়ের কর্মী, এমনকী সাংবাদিক নিধনেও যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন তোলেন না, বরং কাশ্মীর উপত্যকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর কঠোর সমালোচক, তারাই শ্রীনগরের ৫৩ কিলোমিটার দূরে কুলগ্রামে ৫ জন বাঙ্গালি মুসলমান শ্রমিকের হত্যায় নিরাপত্তা বাহিনীর অপ্রতুলতার প্রশ্ন তুলেছেন। এই প্রশ্নকর্তা-কর্রীদের মধ্যে কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে এই হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত (পড়ুন কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা) আখ্যা দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন। ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে গত ৩ মাসে কাশ্মীরিদের দুঃখ-দুর্দশা এবং টেলিফোন ব্যবস্থা বা ইন্টারনেট ব্যবস্থা অচল থাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে যে সমস্ত ব্যক্তি এবং সংবাদমাধ্যম কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করছেন, তারা কিন্তু একবারও বলছেন না যে এই সময়ের মধ্যে বিক্ষোভ সামলাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সামান্য সংঘর্ষ হলেও, কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই ৫ জন শ্রমিকের নৃশংস হত্যা উগ্রবাদীদের নগ্ন কাপুরুষতার পরিচায়ক এবং নিন্দনীয়। এই হত্যাকাণ্ডে কাশ্মীরের নিরাপত্তার বজ আঁটুনির ফাঁকফোকর যেমন বেআব্রু হয়েছে, তেমনি ভ্রমণরত ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্যদের কাছেও কাশ্মীর বিষয়ে একটি ভুল সঙ্কেত গেল। আর এটাই ছিল এই হত্যা রহস্যের উদ্দেশ্য বা মোটিভ। অথচ এক শ্রেণীর রাজনীতিক ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির স্বার্থে মুর্শিদাবাদের বহালনগরের সদ্য পরিজনহারাদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে একপ্রস্থ মোদী নিন্দা এবং কৌশলে। ৩৭০ ধারার বিরোধিতার যেমন সুযোগ নিচ্ছেন, আবার অন্যদিকে বিদেশি সাংসদদের। নিরাপত্তা দেওয়া গেলে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের নিরাপত্তা কেন দেওয়া গেল না এ ধরনের হেঁদো প্রশ্ন তুলেছেন। অথচ ওই সমস্ত ব্যক্তিই জেড প্লাস/মাইনাস নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়ান, অথচ প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গের কোথাও না কোথাও কেউ খুন হচ্ছেন, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটছে—ধর্ষিত হচ্ছেন। মা ও বোনেরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে একটিও বাক্য ব্যয় করছেন না এরা। এই দ্বিচারিতা সাধারণের দৃষ্টি এড়ায় না।
কাশ্মীরে নিরাপরাধ ব্যক্তিদের হত্যা, বন্ধ, কারফিউ, ১৪৪ ধারা মাসের পর মাস জনজীবন ব্যাহত হওয়ার ঘটনা দশকের পর দশক ধরে চলছে এবং কাশ্মীরবাসীর এটা গা-সওয়া হয়ে গেছে। যা নতুন তা হচ্ছে ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধিতায় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট ব্যক্তি বা সংগঠন এবং সংবাদমাধ্যমের একাংশের দ্বারা তাদের দুর্দশার অতিরঞ্জন। একথা ঠিক টেলিফোন ব্যবস্থা জ্যাম করায় আত্মজনের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। তা থেকে অনেকে চিন্তাগ্রস্ত এবং ম্রিয়মান। কাশ্মীরের উগ্রপন্থীদের যোগাযোগ ব্যবস্থা (Communication network) বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যেই এই ব্যবস্থা। মূল স্রোতের কাশ্মীরিরা এটুকু কষ্ট মেনে নিলে সকলেরই লাভ। কাশ্মীরের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই ধীরে ধীরে সব নিষেধাজ্ঞাই উঠে যাবে এবং ইতিমধ্যেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে অনেকটাই। কাশ্মীরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের যে বেদনার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে, মাসের পর মাস দার্জিলিঙে ইন্টারনেট বন্ধ করতে গিয়ে তার ছিটেফোঁটাও তো দেখা যায় না? অথচ দার্জিলিঙে কিন্তু কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী কাশ্মীরে নির্বিচারে গণহত্যা, অত্যাচার, বলাকার চালাচ্ছে বলে এক ধরনের রাজনীতিক এবং প্রচারমাধ্যম যে অপপ্রচার চালাচ্ছে পাকিস্তানি প্রভুদের খুশি করতে এবং মুসলমান ভোটব্যাঙ্কের অঙ্ক কষে তার দ্বারা বাকিদের বিভ্রান্ত করা গেলেও কিন্তু কাশ্মীরিরা বিশ্বাস করে না। কারণ তারা ভালোই জানে কাশ্মীরে আক্রান্ত কাশ্মীরি মুসলমান ছাড়া অন্যান্যরা দু’একটি ব্যতিক্রম। আর এরকম একটি ব্যতিক্রম ঘটে গেল বহালনগরের (কাতরাসু) ৫ জন মুসলমান। শ্রমিক হত্যায়, যা জেহাদি আন্দোলনের পরিপন্থী। আর সে কারণেই কাশ্মীরের কুলগ্রামের বর্ষীয়ানদের আক্ষেপ কাশ্মীরিয়তে কালো দাগ লেগে গেল। এর আগেও পঞ্জাব, ছত্তিশগড় -সহ বিক্ষিপ্তভাবে অমুসলমান বহিরাগতদের খতম করা হয়েছে, তখন কিন্তু এ ধরনের আপশোস শোনা যায়নি।
প্রসঙ্গত, এই হত্যাকাণ্ডের দু’দিন আগেই কাশ্মীর থেকে ফিরেছেন নিহত নইমুদ্দিনের পিতা। তিনি জানিয়েছেন বেশ কয়েকদিন থেকেই আপেল বাগানে কর্মরত বহিরাগতদের কাশ্মীর ছাড়ার হুমকি দিয়েছে উগ্রবাদীরা। কিন্তু ওই হুমকি যে এভাবে কার্যকর হবে তা ভাবতে পারেনি কেউ, এমনকী বাগান মালিকেরাও আশঙ্কিত ছিল শ্রমিকদের নিয়ে। কিন্তু তা যে গণহত্যার রূপ নেবে তারাও ভাবেননি, অঙ্ক মিলছেনা দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীরও। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের আগমন উপলক্ষ্যে উগ্ররা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করবে আক্রমণ হানার তা জানা থাকলেও এ ধরনের soft target করে উগ্রপন্থীরা কাপুরুতার পরিচয় দেবে তা ভাবতে পারেনি তারা। একথা ভুললে চলবে না কাশ্মীরের এই সঙ্কটপূর্ণ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বাহিনী সদা প্রস্তুত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং একটিও জীবনহানির ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে। এ রকম পরিস্থিতিতে যে রাজনীতির কারবারিরা এই হত্যালীলাকে সরকারি পরিকল্পিত হত্যার রূপ দেওয়ার ইঙ্গিত দেয় তারা নােংরা রাজনীতির ধারক ও বাহক এবং দেশের পক্ষে বিপজ্জনক।
বহিরাগতদের উপর হামলার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে ভারতবর্ষের নানা প্রান্তে মেঘালয়, অসম, চেন্নাই ও মহারাষ্ট্রে। বাঁকুড়ার হেমন্ত রায়, ডোমজুড়ের ঠাকুরদাস মাঝি নিহত হয়েছেন কেরল ও দিল্লিতে। এসবই হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা জনিত এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের এতে নিশ্চয়ই দায় থাকে— শাসক যাঁরা বা যে দলেরই থাকুক। রাজনৈতিক দলগুলি এবং প্রচারমাধ্যম নিশ্চয়ই এ নিয়ে সমালোচনা করবে কিন্তু সংশ্লিষ্ট সরকার পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে এ বক্তব্য সত্যের অপলাপ। আর একটি বিষয় রাজ্যবাসীর চোখ এড়ায় না। হচ্ছে এই, দুর্ভাগ্যজনকভাবে হত্যাকাণ্ডের বলি একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোক হলে ঘটনার তড়িৎ মোড় নেয়। যেমনটি ঘটেছিল মালদার আফরাজুলের ক্ষেত্রে, আবার ঘটলো এখন। নিহতদের পাশে দাঁড়ানো যেকোনো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের অবশ্য কর্তব্য। প্রয়োজনে রাজকোষ থেকে অর্থ সাহায্য এবং অন্যান্য সাহায্য দেওয়া চলে। তাই বলে শোকাকুল পরিবেশে আত্মীয়। পরিজনদের সামনে আমাদের নেত্রী অমুকের মাধ্যমে সাহায্যের চেক পাঠাচ্ছেন এ ঘোষণায় ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির গন্ধ টের পাওয়া যায়। সরকারি টাকায় এই সাহায্য, জনসাধারণের করের টাকায় সাহায্য, সুতরাং নেতা-নেত্রীদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রশাসনের মাধ্যমে ওই অর্থ বিলি করলেই শোভনীয়তা বজায় থাকতো।
এ প্রসঙ্গে আর একটি প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। শ্রমিকদের ভিন রাজ্যে যেতে হয় কেন? এই বিষয়টির দুটি দিক আছে— ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে ভারতীয় অধিবাসীরা ব্যবসা বাণিজ্য এবং কাজকর্মের জন্য ভারতের যে কোনো জায়গায় যাওয়া ও থাকার অধিকার আছে। সেখানে তাদের নিরাপত্তার দিকটি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের আওতায়। সুতরাং কাশ্মীরে কাজের জন্য কেউ যেতেই পারেন। তবে শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেই লক্ষাধিক শ্রমিকের শুধু কাশ্মীরে কাজে যাওয়ার খবরটি কিন্তু ওই জেলার দারিদ্র্য এবং কর্মহীনতার বা কাজের সুযোগহীনতার দিকটি প্রকটিত করে। পশ্চিমবঙ্গের কলকারখানা যা ছিল তা হয় বন্ধ, না হয় অধিকাংশই অন্য রাজ্যমুখী। শিল্পমেলায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই না পাওয়ায় বিশ্ব বাংলা শিল্পমেলা (Business Summit) বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্জনেরা বলেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্প এখন শব্দ বাজি এবং বোমা তৈরি, আর ব্যবসা হচ্ছে মদের দোকানের নতুন নতুন লাইসেন্স। কিছুদিন আগেই রাজ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকা আবগারি শুল্কে আয়ের খবর ছিল দৈনিকে। পাড়ায় পাড়ায় আইনি-বেআইনি মদ ব্যবসার রমরমা। কেউ কেউ উৎপাতে বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা বলছেন। মাদক দ্রব্যের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হত্যা করা হচ্ছে। ক্লাবের টাকায়, আর পূজার টাকায় ভালোই আমদানি। চাকুরি নেই, সুতরাং মদই ভরসা। বিহারের মতো চোলাই খাওয়া রাজ্যেও মদ নিষিদ্ধ করা হয়, আর বাঙ্গলায় তা কোষাগারের ভিত। এই প্রতিবেদকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ চেন্নাই-হায়দরাবাদে শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়ায় অনেক গ্রাম পুরুষশূন্য। রাজ্যের ভিতরে কর্মসংস্থানের পরিকাঠামো তৈরি করতে পারলে অনেককেই বাইরে গিয়ে মরতে হতো না। প্রশ্ন উঠছে, আপাত-শান্ত কাশ্মীরে এই সংগঠিত হত্যাকাণ্ড কেন ঘটলো? এর পরিপ্রেক্ষিত আগেই বলা হয়েছে। কোণঠাসা জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর তাড়া খেয়ে যখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে তখনই খবর ছড়ালইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের এমপিদের আগমনের।কিছু করে দেখানোর নেশায় আত্মঘাতী গোল করে বসলো। তাই সমালোচনার ভয়ে বা মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয়ে এই হত্যার দায় পর্যন্ত স্বীকার করছে না। পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জঙ্গি ২০১৬-তে ১৫ জন অসামরিক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। ২০১৭-তে ৩৪২টি উগ্রপন্থী হানায় ৪০ জন সাধারণের প্রাণ নিয়েছে। এছাড়াও কর্মরত পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর শতাধিক কর্মীকে হত্যা করেছে। তবে এসকল ছিল জেহাদের অঙ্গ—এবারই তার ব্যতিক্রম ঘটেছে বলে কাশ্মীরিয়তে ধাক্কা লেগেছে। এই ধরনের মানসিকতার জন্যই ৩৭০ ধারা বলবৎ থাকা সত্ত্বেও কাশ্মীরে শান্তি ফেরেনি। হয়নি কাশ্মীরবাসীর সামাজিক বা আর্থিক উন্নয়ন। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে ভারতের মোদী সরকার কাশ্মীরিদের উন্নয়নের বাধা ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে রাজ্যটিকে ভারতের মূলস্রোতে ফেরাতে।
ভাবুন তো বিরোধী পক্ষ কত দেউলিয়া এবং নির্লজ্জ হলে ইউরোপিয়ান সদস্যদের নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে কাশ্মীরে কর্মরত বহিরাগত শ্রমিকদের হত্যাকাণ্ডের তুলনা টানতে পারে। ভারত সরকার আন্তর্জাতিকমহলের সমর্থন লাভের আশায় ওই সদস্যদের ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে এবং এই পর্যটন রাজনৈতিক তাতে সন্দেহ নেই। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বর্তমান তিক্ততা থেকে যদি কোনো বৃহৎ যুদ্ধের রূপ নেয় তখন সন্দেহাতীতভাবেইউরোপের সমর্থন আমাদের জন্য মূল্যবান হবে। সুতরাং ভারতের স্বার্থে ইউরোপিয়ান সদস্যদের যথোপযুক্ত নিরাপত্তা এবং আতিথ্য ভারতের জাতীয় স্বার্থে— এর বিরোধিতা করার অর্থ দেশদ্রোহিতা।
আর একটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার। ভারতে কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্তি হয়েছে ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা আইনের ধারা মেনে, যে আইনটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাশ হয়েছে। সুতরাং ২৬ অক্টোবর ১৯৪৭ সালে কাশ্মীরের ভারতভুক্তি পাকিস্তানে ১৩টি অঙ্গরাজ্যের (Princely States) যোগদানের মতোই। এটা একটি settled fact আর যা unsettledতা হচ্ছে অধিকৃত কাশ্মীরকে উদ্ধার করে কাশ্মীরকে পুরনো মর্যাদায় ফিরিয়ে দেওয়া। ১ নভেম্বর থেকে জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুত কেন্দ্রীয় সরকার। পাকিস্তান ভারত বৈরিতা ত্যাগ করলে প্রতিবেশী দুটি দেশই সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে আরও বিকাশ লাভে সমর্থ হবে। অপরপক্ষে ভারতের অভ্যন্তরে ভারতবিরোধী উগ্রপন্থার মদতকারীরা এখনও সতর্ক হলে তাদের এবং দেশের জন্য মঙ্গল। তা না হলে জাতীয়তাবাদী মন্ত্রে দীক্ষিত আধুনিক ভারতের নতুন প্রজন্ম দেশদ্রোহীদের ক্ষমা করবে না।
কে. এন. মণ্ডল
(লেখক ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য প্রবন্ধক)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.