দূরপাল্লা ট্রেনে আরশোলা-ইঁদুর-টিকটিকির সঙ্গে পরিচয় তো অনেক আগে থেকেই। কখনও ট্রেনের খাবারের ভিতর আরশোলা, আবার কখনও পুরো খাবারটাই পচা। কখনও আবার ট্রেনের সিটের কাছে টিকটিকি কিংবা আরশোলা। এছাড়া ট্রেনের টয়লেট নিয়ে চিরকালের অভিযোগ লেগেই থাকে। ট্রেনের ভিতর এরকম ধরণের অভিযোগ সকলের কাছে নতুন কিছু নয়।
তবে এবার ট্রেনের ভিতর ঘটল ভয়ঙ্কর কাণ্ড। যা শুনলেই শিউড়ে উঠবেন আপনিও। এমনকি ট্রেনে চাপার আগে একাধিকবার ভাববেন। ঘটনাটি ঠিক কী?
যাত্রী ভর্তি ট্রেন। তাদেরই মাঝে লুকিয়ে ছিল একটি বিষাক্ত সাপ। সেই ঘটাল বিপত্তি। সোমবার মাদুরাইগামী ট্রেনে একজন যাত্রীকে সাপে কামড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, সংকটজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে মাদুরাই-গুরুভায়ুর প্যাসেঞ্জার এক্সপ্রেসে। জানা গিয়েছে, যাত্রীর নাম কার্তিক। ২১ বছর বয়সী ওই যুবক মাদুরাইয়ের বাসিন্দা। কর্তৃপক্ষের মতে, কার্তিক পিরাভোম রোড রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন এবং টেনকাসি যাচ্ছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে শীঘ্রই কোট্টায়াম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ষষ্ঠ বগিতে যাওয়ার সময় তাঁকে সাপটি কামড় দেয়।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিক যে আসনটিতে বসেছিলেন তার পাশের একটি গর্ত দিয়ে সাপটি বগিতে ঢুকে থাকতে পারে। প্রাথমিক ধারণা, তারপর সিটের নিচে লুকিয়েছিল সাপটি। সেখান থেকে বেরিয়েই কার্তিককে কামড়ায় সে। রেলওয়ে পুলিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি গুরুতর আহত হননি। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।’ ট্রেনের সহযাত্রীরা জানিয়েছে, তারাও সিটের নিতে সাপটিকে দেখেছেন। ঘটনাটির পর এট্টুমানুর স্টেশনে ১০ মিনিটের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। যে বগিতে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং বিস্তারিত যাচাই করা হচ্ছে।
এর আগে বহুবার বিতর্কের মধ্যে পড়েছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের দেওয়া দইয়ের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল ছত্রাক। এবছরের মার্চ মাসের শুরুর দিকে দেরাদুন থেকে দিল্লির আনন্দ বিহারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এক ভ্রমণকারী এই অভিযোগ তোলেন। প্রত্যেক যাত্রীকেই ভারতীয় রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনের (IRCTC) তরফ থেকে খাবার দেওয়া হয়। খাবারের সঙ্গে দেওয়া হয় দইও। সেই দইয়ের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে ছত্রাক।
তারও আগের মাসে অন্য এক যাত্রীর বন্দে ভারতে দেওয়া খাবার থেকে মৃত আরশোলা পাওয়া যায়। এই অভিযোগ নিয়ে তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন। যার প্রতিক্রিয়ায় আইআরসিটিসি তাঁর কাছে ক্ষমাও চায়।