চিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আক্রান্ত প্রায় ১০ হাজার৷ এই পরিস্থিতিতে সেখানে মাস্ক এর চাহিদা বাড়ছে৷ এদিকে মাস্ক রফতানিতে ভারত সরকারের পক্ষে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ অর্থাৎ ভারত থেকে কোনও ধরনের ‘মাস্ক’ বিদেশে রফতানি করা যাবে না৷
শুক্রবার ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড-এর তরফে একটি নির্দেশকা জারি হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে শুধু ‘রেসপিরেটরি মাস্ক’ই নয়, বায়ুবাহিত ধূলিকণা ঠেকাতে যেসমস্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি হয়, তার কোনওটাই এখন রফতানি করা যাবে না৷ এমনকি পরবর্তী নির্দেশিকা না-দেওয়া পর্যন্ত, এই নিষেধাজ্ঞা বলবত্ থাকবে৷
এদিকে চীনের সীমান্ত পেরিয়ে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে এই ভয়াবহ ভাইরাসটি। সর্বশেষ সিঙ্গাপুর ও জার্মানিতেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও জাপানে এই ভাইরাসে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
চিন সরকার জানিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হলেও অবস্থা এখনও আয়ত্তের বাইরে৷ হুবেই শহরের সর্বত্র জারি হয়েছে যাতায়াতের নিষেধাজ্ঞা৷ কিন্তু ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের প্রবেশ হয়নি বুধবার পর্যন্ত৷ এমনই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষবর্ধন৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, বিশেষ প্রয়োজন না থাকলে কোনও ভারতীয় যেন চিনে না যান৷ এই মর্মে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ে যাবতীয় তথ্য জানতে জাতীয়স্তরে হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে৷ এই নম্বরটি হল 011-23978046, এখানে ফোন করলে ভাইরাসের বিষয়ে যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিনের যে কোন সময়ে জানানো হবে৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির পরীক্ষাগার ছাড়াও আলেপ্পে, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও মুম্বইয়ের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের চারটি পরীক্ষাগারে চিকিৎসার জন্য নমুনা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।