৪ ঘন্টা ১০ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে তিনি ১১,৫০৪টি ডুব দিয়ে রেকর্ড গড়েন যুবক

পুকুরে বা নদীতে স্নান করার সময়ে জলে মাথা ডোবান দেন প্রায় সকলেই। যাকে বলা হয় ডুব দেওয়া। কিন্তু কখনও কি গুনে দেখেছেন রোজ স্নান করার সময়ে আপনি ঠিক কতগুলি ডুব দিয়েছেন। এবারে লাগাতার ডুব দিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে (indian book of record) নাম তুললেন হাওড়ার (howrah) এক তরুণ (young boy)। তিনি চার ঘন্টার কিছু বেশী সময়ে ১১ হাজারেরও বেশী ডুব দিয়ে এই বিরল রেকর্ডের অধিকারী হয়েছেন।

হাওড়ার তেলকল ঘাটে (telkal ghat) এই রেকর্ড করেন মুকেশ গুপ্তা নামের ওই তরুণ। দিল্লি থেকে আসা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডের প্রতিনিধি আনন্দ বেদান্তের সামনেই মাত্র ৪ ঘন্টা ১০ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে তিনি ১১,৫০৪টি ডুব দিয়ে রেকর্ড গড়েন। এ ব্যাপারে মুকেশ গুপ্তা বলেন, ‘নতুন নতুন রেকর্ড করার ইচ্ছা সব সময় থাকে। একটানা ডুব দেওয়ার রেকর্ড করার ইচ্ছা ছিল। সেইমতো ট্রেনিং নিয়েছি। আরও রেকর্ড করার ইচ্ছে আছে।’

তেলকল ঘাটের গঙ্গায় ১১ হাজারেরও বেশি ডুব দিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস নাম তুলেছেন। এর আগে একটা ডুব দিয়ে এইভাবে রেকর্ড কেউ করেননি। এই ধরনের রেকর্ড করার উদ্দেশ্য এটা তিনি বলতে পারেন পশ্চিমবঙ্গে এমন মানুষ আছে যা ভারতবর্ষে নেই। এই রেকর্ড করার জন্য জন্য আড়াই মাসের ট্রেনিং নিতে হয়েছিল। বেশিরভাগ সময় জলে থাকতে হয়েছিল অনুশীলনের জন্য। তিনি চেষ্টা করবেন আরও রেকর্ড করার। এর জন্য সরকারি সাহায্য প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের প্রতিনিধি আনন্দ বেদান্ত জানিয়েছেন, ৪ ঘণ্টা ১০ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে ১১ হাজার ৫০৪টি ডুব দিয়ে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলেছে মুকেশ গুপ্তা। এদিন সকাল সাতটায় ডুব দিতে শুরু করেছিল। সোয়া ১১টা নাগাদ তিনি ডুব শেষ করেন। একটানা ডোবার রেকর্ড এটাই প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত শেষ বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে সাগর পার করে ফেলেছিল সে। নাম তুলে ফেলেছিল রেকর্ড বুকে। হাওড়ার মুকেশ গুপ্তা ‘বাংলা চ্যানেল’ সাঁতরে পেরিয়ে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে ‘এলিগেন্ট’ তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলে।

বাড়ি থেকে সায় ছিল না মুকেশের ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার অদ্ভুত অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে। অবাক লাগলেও এটাই ছিল ছেলের অ্যাডভেঞ্চার। স্বাভাবিকভাবেই গরীব পরিবারের ছেলের এমন কাজ কর্মে সায় ছিল না পরিবারের। তাই সে যখন ‘বাংলা চ্যানেল’ পার হবে বলে ঠিক করে তখনও বাড়িতে জানাতে চায়নি। এক প্রকার বাড়িতে না বলেই ওই বাংলা চ্যানেল পার করে ফেলেছিল সে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.