বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা যাতে না বাড়ে, সেজন্য ড্রোনের মাধ্যমে বাড়ির ছাদেও নজরদারি চালাল বিধাননগর পুরনিগম। লক্ষ্য একটাই, বাড়ির ছাদে কোথাও কোনও জায়গায় কোনও জল জমে আসে কিনা।
সোমবার বিধাননগরের পুর প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তীর তত্বাবধানে ড্রোনের মাধ্যমে এই নজরদারি চালানো হয়। পুরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে, ড্রোনের মাধ্যমে যেসব বাড়ির ছাদে জমা জল ধরা পড়েছে, সেই সব ছবি খতিয়ে দেখে সেই সব বাড়িকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সল্টলেকের এ কে ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করা হয়।
পুর প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, যে সব বাড়ির ছাদে জল জমে আছে, সেইসব বাড়িকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তিন-চারদিন সময় দেওয়া হয়েছে, যাতে জমা জল সরিয়ে পরিষ্কার করা হয়। তারপরও না হলে ফের লোক পাঠানো হবে। তাঁর কথায়, ‘আমরা মানুষের ভালোর জন্য এই কাজ করছি। মানুষের পাশে থাকব। তাঁদের রক্ষা করব। করোনার সময়ও লোকের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া সব কাজ করেছি।’
সোমবার কেষ্টপুর খাল সংস্কার নিয়েও মুখ খোলেন বিধাননগর পুরনিগম। তিনি জানান, ‘বিষয়টি মধ্যমগ্রামে যখন প্রশাসনিক বৈঠক হয় তখন বলেছি। বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়েছে। জানুয়ারি মাস খেকে কেষ্টপুর খালে ড্রেজিং করা হবে। বিধাননগরের পুর প্রশাসক জানান, ‘সারা বছর ধরেই বিধাননগরের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা প্রচার করা হয়। রিফটেল দিই। ফ্লেক্স টাঙানো হয়। কিন্তু এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বাড়িতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, ছাদের ওপর প্রচুর গাছ রয়েছে, বয়স্ক মানুষ থাকেন। কিন্তু ছাদে উঠতে দেওয়া হয় না। ড্রোনের মাধ্যমে আমরা দেখতে চাইছিলাম কোথায় জল জমে আছে।’ তিনি জানান, একা কর্পোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয় প্রতিটি বাড়ি বাড়ি দেখা। তবে এটা বিশেষ অভিযান চালানো হল। কিছু কিছু বাড়িতে সুইমিং পুল রয়েছে। প্রথমে খুব সাঁতার কাটা হয়। জলটা যদি সচল থাকে, তাহলে কিন্তু মশার লার্ভা জন্মাতে পারবে না। এই সব বিষয়ও নজরে রাখা হয়েছে।