রাজ্যে এখনও রাজনৈতিক খুনের ঘটনা ঘটছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলেই এবার বিধানসভায় সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত কয়েকদিনে দুই বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এ দিন সরব হন তিনি। এই ইস্যুতে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেছেন তিনি। শুভেন্দু এ দিন বিধানসভায় উল্লেখ পর্বে মনে করিয়ে দেন, এখন আর আইন-শৃঙ্খলা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে নেই, তাই রাজ্য সরকারের এই সব বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
মঙ্গলবার বিধানসভায় শুভেন্দু, পরপর দুই বিজেপি কর্মীকে খুনের কথা উল্লেখ করেন। পূর্ব মেদিনীপুরে খুন হওয়া চন্দন মাইতি ও বিজেপি কর্মী ভাস্কর বেরাকে খুনের কথা উল্লেখ করে রাজনৈতিক খুনের অভিযোগ সামনে আনেন শুভেন্দু। শুধু খুনই নয়, মহিলা নির্যাতন বা ধর্ষণের কথাও এ দিন উল্লেখ করেন তিনি। বিরোধী দলনেতা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি ভাতারে এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করার ঘটনা। এ ছাড়া খেজুরিতে তফসিলি পরিবারের ওপর কী ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে সে কথাও বলেন তিনি।
রাজ্যে যে রাজনৈতিক খুন এখনও অব্যাহত, সেই বিষয়টা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি পেশের দাবি জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর অভিযোগ, সরকারের তরফে এই সব ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে সেই অর্থে কোনও তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। তাঁর দাবি, এখন তো আর নির্বাচন কমিশনের হাতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেই। এখন কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? সেই প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু।
উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে বিজেপি নেতা চন্দন মাইতি খুন হন। খুনে জড়িত সন্দেহে এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভাইফোঁটার দিন রাতে বাড়ির কাছেই খুন হন ভগবানপুরের বিজেপি নেতা চন্দন। প্রবল মারধর ও ধারাল অস্ত্রের কোপে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। দলের তরফে অভিযোগ, তাপস দলপতি নামে একজন যুক্ত এই ঘটনায়। সেই তাপসকেই খুনের তিন দিনের মাথায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাপসকেই খুনের মূল মাথা বলে মনে করছে বিজেপি।
অন্যদিকে, কয়েকদিন আগে ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের বড়বড়িয়ায় কার্যত জনবহুল এলাকায় আর এক বিজেপি কর্মী ভাস্কর বেরাকে পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সেখানকার বাসিন্দারা। ভাস্করকে খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।