পরিত্যক্ত ব্যাগ খুলতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম হলেন কলেজ পডুয়া। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার করিমপুরের অন্যতম জনবহুল এলাকা রেগুলেটেড মার্কেটে। আহত যুবকের নাম নীলেশ মণ্ডল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার পাশে ডাস্টবিনে পড়েছিল ওই ব্যাগটি। পরিত্যক্ত সেই ব্যাগের চেন খুলতেই ঘটে জোরালো বিস্ফোরণ। কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। আশপাশের মানুষজন দেখতে পান, রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছেন নীলেশ। তড়িঘড়ি ওই যুবককে উদ্ধার করে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, বিস্ফোরণে ওই যুবকের ডান হাতের ৩টি আঙুল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই যুবককে শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল স্থানান্তরিত করানো হয়েছে। ভরা বিকেলে জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বেলা ৪টে নাগাদ করিমপুর রেগুলেটেড মার্কেটের একটি ডাস্টবিনে পরিতক্ত ব্যাগ দেখে সেটি হাতে নেন করিমপুর থানা এলাকার কিশোরপুরের বাসিন্দা বিএ দ্বিতীয় বর্ষের কলেজ পড়ুয়া নীলেশ। ব্যাগের চেইন খুলতেই ঘটে জোরালো বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রেখেছে করিমপুর থানার পুলিশ। বিস্ফোরণস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে বিস্ফোরকের ধরন জানতে চাইছে পুলিশ। আহত যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টা নাগাদ সময় খাওয়াদাওয়া করে নীলেশ এবং দীনেশ দুই ভাই করিমপুর গিয়েছিল। বেলা ৪টে নাগাদ করিমপুর থানা থেকে বিস্ফোরণের খবর আসে নীলেশের পরিবারে। তাঁর বাবা নিশিকান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘খবর পেলাম বোমা ফেটে ছেলের হাত উড়ে গিয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি ছেলেকে কৃষ্ণনগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
নীলেশের বক্তব্য, ‘‘ভাল ব্যাগ ভেবে কুড়োতে গিয়েছিলাম। চেইন খুলতে বিস্ফোরণ ঘটল। তার পর আর কিছু মনে নেই।’’ শুক্রবারই কৃষ্ণনগরে পুলিশ সুপারের দফতরের কাছাকাছি এলাকা থেকে উদ্ধার ৪টি বোমা। তার পর করিমপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়।
তেহট্টের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেন, ‘‘পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। আহত যুবকের বয়ান শুনে মনে হচ্ছে, বোমা থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বোমা কারা মজুত করেছিল, কোথা থেকে এসেছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’