মুর্শিদাবাদ সফরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে কালো পতাকা দেখাল তৃণমূল। বুধবার ডোমকল ঢোকার মুখেই রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা৷ কিন্তু তাতে এতটুকুও বিব্রত হতে দেখা গেল না রাজ্যপালকে৷ বরং বিক্ষুব্ধদের দেখে হেসে হাত নাড়লেন তিনি৷
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত নতুন কিছু নয়৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা থেকে রেড রোডের কার্নিভাল, হেলিকপ্টার সহ নানান ইস্যুতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত চলছে৷ এমনকি রাজ্যপালের জেলায় জেলায় চলে যাওয়া নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শাসকদলের নেতানেত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজাসুজি বলে দিয়েছেন ‘উনি বিজেপির পার্টি ম্যান!’
সংসদেও এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে নালিশ করেছেন তৃণমূল সাংসদরা। কিন্তু তারপর রাজ্যপাল বলেছেন, “আমি সংবিধান মেনে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি। যেখানে ইচ্ছে যাব। এর জন্য রাজ্যের কোনও অনুমতির প্রয়োজন নেই।” তবে শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভকে রাস্তায় নামিয়ে আনল শাসকদল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এরাজ্যে রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানো নজিরবিহীন ঘটনা৷
উল্লেখ্য, বুধবার ডোমকল গার্লস কলেজের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজ্যপাল। সেইসঙ্গে সিপিএম বিধায়ক তথা বাম জমানার দাপুটে মন্ত্রী আনিসুর রহমানের আমন্ত্রণও পেয়েছিলেন রাজ্যপাল৷ মঙ্গলবার রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এই সফরেও রাজ্য সরকারের থেকে হেলিকপ্টার চেয়ে পাওয়া যায়নি৷
ফারাক্কার কর্মসূচির সময়েও রাজভবন হেলিকপ্টার চেয়েছিল। কিন্তু তা তো সরকার দেয়নি উলটে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “রাজ্যপালের কেন হেলিকপ্টার লাগবে তা আমাদের জানতে হবে। এটা তো মানুষের টাকা!” কিন্তু এবার রাস্তায় নেবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হল তৃণমূল। উল্লেখ্য, বুধবারই মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।