দুর্ঘটনায় আহত বালিকা বধূ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র অদ্রিজা মুখোপাধ্যায়। আজ সকালে পরিবারের সঙ্গে এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বর্ধমানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তিনি। যাত্রাপথে হুগলির নাটাগড়ের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের গাড়ি। পিছনের চাকা খুলে গিয়ে জলাশয়ে পড়ে যায় গাড়ি।
অদ্রিজার অভিভাবকদের সঙ্গে তাদের গাড়িতে ছিলেন মোট ৬ জন। কম-বেশি সকলেরই চোট লেগেছে। মাথায়-হাতে চোট পেয়েছেন অদ্রিজা। কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আপাতত তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়। তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মোট ৬জন আহতকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়।
আপাতত অদ্রিজা সহ সকলেরই শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। তবে গাড়ি উল্টে গিয়ে এভাবে দুর্ঘটনায় পড়ার জেরে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন অদ্রিজা। আপাতত সেই আতঙ্ক কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন তিনি।
অদ্রিজার মা মৌমিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন তিনি। নাটাগড়ের কাছে রাস্তার খারাপ অংশে গাড়ি পড়ে যাওয়ার পর খুলে যায় পিছনের চাকা। যারপরই গাড়ি পাল্টি খেয়ে রাস্তা সংলগ্ন জলাশয়ে গিয়ে পড়ে। তাঁর আশঙ্কা ভবানীপুরের একটি গ্যারেজে গাড়ির চাকা সারানোর সময় নাটবল্টু ঠিকমতো না লাগানোর জেরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় তাঁদের।
বর্ধমানের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে কলকাতার ভবানীপুরের কাছে পাংচার হয়ে গিয়েছিল তাঁদের গাড়ির চাকা। যা সারাতে স্থানীয় এক গ্যারেজে যান তাঁরা। গাড়ির পিছনের যে চাকা সারাতে গিয়েছিলেন তারা, সেই পিছনের চাকাই খুলে যায় বলে জানান মৌমিতা মুখোপাধ্যায়।
প্রাক্তন ফুটবলার বিদেশ বসুর ভাইঝি মৌমিতা মুখোপাধ্যায়। পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পথে বিদেশবাবুও যাচ্ছিলেন তাঁদের সঙ্গে। অদ্রিজারা যে গাড়িতে ছিলেন, তাঁর আগের গাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ছিলেন বিদেশবাবু। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই সোজা কালনার হাসপাতালে ছুটে যান তাঁরা।