আশঙ্কা ছিলই, তা সত্যিতে পরিণত হলো। হাতির হানায় নষ্ট হলো আলুর খেত ও সবজি।
মেদিনীপুরের সীমানা পেরিয়ে হাতির দল বাঁকুড়ার জঙ্গলে প্রবেশ করেছিল দু’দিন আগেই। বনদপ্তর নজরেও রাখছিল হাতির গতিবিধি। কিন্তু এবার পরিচিত জঙ্গলের পথে না গিয়ে কৃষিজমিতে ঢুকে পড়েছে হাতির দল। ৫২টি হাতির দল খুব সম্ভবতঃ তিনটি দলে ভাগ হয়েছে বলে অনুমান। গতকাল ভোরে একদল হাতি হানা দেয় জয়পুর রেঞ্জের জগন্নাথপুর এলাকার আঙারিয়া, মুড়ারডাঙ্গা গ্রামে। সেখানে বিঘার পর বিঘা আলু খেত, সবজির মাচা তছনছ করে দেয়। এই সময় জয়পুর, কোতুলপুর এলাকায় ব্যাপক আলু চাষ হয়। চাষিরা নিজের নিজের জমিতে আলু লাগিয়েছে সবে। এরই মাঝে হাতির হানা। আলুর পাশাপাশি বরবটি ও সিমের মত সবজি চাষ করেছিলেন চাষিরা, সেই সব সবজির মাচা তছনছ করে দিয়েছে।
আঙারিয়া গ্রামের উত্তম বাগদী, সাগর লাহাদের বক্তব্য, এই এলাকায় হাতি কখনও আসেনি। এবারই শুনলাম হাতির আগমনের কথা। কিন্তু আমাদের খেতেই ঢুকে পড়বে সে কথা বুঝতে পারিনি। মহাজনের কাছ থেকে ধার করে বীজ কিনেছিলাম, সব শেষ করে দিল। বনবিভাগ ক্ষতিপূরণ দিলেও তা খরচের তুলনায় অনেক কম হবে।
পাঞ্চেত বনবিভাগের ডিএফ ও বীরেন শর্মা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে হাতির দল জিয়াবাধি জঙ্গলে রয়েছে।তাদের উত্তর বনবিভাগের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু হাতি জঙ্গলের পরিচিত পথ ছেড়ে কৃষিজমিতে চলে গেলে তাদের বাগে আনা খুব মুশকিল।
এদিকে হাতির হানার খবরে জয়পুর সহ বিস্তির্ণ এলাকার মানুষের ঘুম ছুটেছে।