CAA লাগু না করলে সাংবিধানিক সংকটে পড়তে পারে রাজ্য, সতর্কবার্তা সিব্বালের

যতই আপত্তি থাকুক না কেন দেশের প্রতিটি রাজ্য নয়া নাগরিকত্ব আইন লাগু করতে বাধ্য বলে এক আগে একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। দেশের সংবিধান অনুসারেই রাজ্যগুলি কেন্দ্রের এই আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে বাধ্য বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) ইস্যুতে ভিন্ন সুর কংগ্রেসের অন্দরে। সংসদে পাশ হওয়া এই আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে কোনও রাজ্য অস্বীকার করতে পারে না বলে শনিবার মন্তব্য করলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বাল। কোনও আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে অসম্মতি জানানো ‘অসাংবিধানিক’ বলেও স্পষ্ট জানিয়েছে দিয়েছেন তিনি।

এ দিন কোঝিকোড় বিচে অনুষ্ঠিত কেরালা লিটারেচার ফেস্টে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিব্বাল।

অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান এই আইনজীবী বলেন, ‘সংসদে CAA পাশ হয়ে আইনে পরিণত হওয়ায় এখন কোনও রাজ্য বলতে পারে না- আমরা তা কার্যকর করব না। এমন কখনই সম্ভব নয়। এটা অসাংবিধানিক। আপনি এর বিরোধিতা করতে পারেন। এর বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়ে কেন্দ্রকে আইন প্রত্যাহারের আবেদন পর্যন্ত করা যেতে পারে। কিন্তু আইন লাগু করব না, এ কথা কখনই বলা যায় না।’

এর রেশ ধরে CAA বিরোধী রাজ্যগুলিকে তাঁর বার্তা, ‘CAA লাগুর ক্ষেত্রে অসম্মতি জানালে রাজ্যগুলিই সাংবিধানিকভাবে বিপদে পড়তে পারে। যার ফলে আরও সমস্যা সৃষ্টি হবে।’

যতই আপত্তি থাকুক না কেন দেশের প্রতিটি রাজ্য নয়া নাগরিকত্ব আইন লাগু করতে বাধ্য বলে এর আগে একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। দেশের সংবিধান অনুসারেই রাজ্যগুলি কেন্দ্রের এই আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে বাধ্য বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন।

নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৬ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নিজেদের রাজ্যে ‘বৈষম্যমূলক’ এই আইন তাঁরা কার্যকর করবেন না বলে জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের বক্তব্য, নাগরিকত্ব বিষয়টি সংবিধানের সপ্তম তফশিলের অন্তর্গত কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত। আর কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত কোনও আইন লাঘু করতে রাজ্য অস্বীকার করতে পারে না। আর CAA কার্যকর করতে অস্বীকার করলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির এক্তিয়ার কেন্দ্রের আছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে কপিল সিব্বলের এই দিনের হুঁশিয়ারি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.