বইতে পড়ানো হয় কিভাবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর এক ডাকে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় সেনায় যোগ দিতে ছুতেছিলেন, শাস্ত্রীজির ডাকে সপ্তাহের একদিন দেশবাসী উপবাস রেখেছিলেন। তবে আজ বৰ্তমান সমাজ দেখল কিভাবে দেশ মহামারির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ডাকে এক হতে পারে। দেশ আরো একবার দেখিয়ে দিল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কিভাবে ভারতীয়রা এক হতে পারে। জানিয়ে দি, ভারত এখন করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। সেই সূত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) জনতার একতা দেখানোর জন্য সকলকে রবিবার রাত ৯ টেয় ৯ মিনিটের জন্য বাড়ির আলো নিভিয়ে সকলকে প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালিয়ে ব্যালকনি, উঠানের মধ্যে উপস্থিত হতে বলেছিলেন। এখন দেশের জনতা প্রধানমন্ত্রী মোদীর সেই কথাকে একত্রভাবে পালন করেদেখিয়েছে তথা করোনার বিরুদ্ধে দেশের শক্তি প্রদান করেছে। দাবি করা হয়েছিল একসাথে আলো বন্ধ করলে পাওয়ার গ্রিড বসে যাবে, কিন্তু তেমন কিছুই না ঘটেই দেশ শান্তিপূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর আবেদনকে পালন করলেন
জানিয়ে দি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) যেদিন এর জন্য ঘোষণা করেছিলেন সেই দিন থেকে বামপন্থী,কট্টরপন্থী ও বুদ্ধিজীবী বর্গ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে হাসির পাত্র পরিণত করার প্রয়াস চালিয়েছিল। বামপন্থীরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনাকে নিয়ে ট্রোল করা থেকে শুরু করে বাজে মন্তব্য করা কিছুই বাকি রাখেনি। তবে দেশ আজ বামপন্থী, কট্টরপন্থীদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে দেশের একতা প্রমান করে দিল।
দেশের প্রতিটি রাজ্য, প্রতিটি জেলা, প্রতিটি পাড়া-মহল্লা নয় মিনিট শুধুমাত্র দেশের সেই সমস্ত যোদ্ধাদের সন্মান জানাতে নয় মিনিটের জন্য বাতি নিভিয়ে প্রদীপ জ্বালালেন যারা নিরলস ভাবে করোনার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করে আসছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে সবাই সবার পাশে আছে এটাই ছিল মূলত প্রদীপ জ্বালানোর মূল উদেশ্য যা সফল হয়েছে।
আজ দেশের জনতা যা করেছে তা যে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এর কারণ ভারতের মানুষের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিন্নতা থাকলেও যুদ্ধের সময় যে সমস্থ ভারতবাসী এক হতে পারে তা আজকের ঘটনায় প্রমাণিত। আজ দেশ যা করেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং বিশ্বকে প্রেরণা দেওয়ার মতো।