Civic Volunteer: গাছে ঝুলছে সিভিক ভলান্টিয়ারের দেহ! আত্মহত্যা নাকি খুন? তীব্র চাঞ্চল্য…

 সিভিক পুলিসের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার। প্রাথমিক সুইসাইড মনে হলেও,পরিবারের দাবি তাকে দুর্গাপুজোর সময় হুমকি দিয়ে ছিল কয়েকজন। তারাই মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। পুলিস তদন্তে। মৃত ব্যক্তির নাম মাধব সর্দার। বয়স ৩৮, বাড়ি নবদ্বীপ ব্লকের উসিদপুর ভালুকা বটতলা রুই পুকুর পঞ্চায়েত এর আমঘাটায়, এলাকা কৃষ্ণনগর কোতয়ালী থানার অন্তর্গত। বাড়ির পাশে আমবাগান আমগাছে চাদর আর গামছা দিয়ে গলায় দড়ি ফাঁস দেওয়া মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা মৃতদেহ দেখে রবিবার সকালে। পরিবারের সন্দেহ, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। পরিবারের দাবি, দুর্গাপুজোয় প্রায় দশ বারো জন তাকে হুমকি দেয় পরিবারের সঙ্গে কাউকে কোনও ঝগড়া অশান্তি কিছুই হয়নি।

প্রসঙ্গত, আরও একজন জনের মরদেহ উদ্ধার করল আমবাগান থেকে কৃষ্ণনগর কোতয়ালী থানার পুলিস। মৃতের বাড়ি শান্তিপুরে। বাগানের মাটিতে পড়েছিল মৃতদেহ। কৃষ্ণনগর বারো নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ঝিটকি পোতা পাওয়ার হাউস গেট সংলগ্ন একটি আম বাগানের ভিতর থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম ঋত্বিক মুন্সি, যার বাড়ি শান্তিপুর থানার অন্তর্গত বেড় পাড়া এলাকায় বলে জানা গিয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা যায়, মৃতদেহটি প্রাথমিকভাবে সন্দেহজনক অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, এবং মৃত্যুর কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাটি নিয়ে উদ্বিগ্ন, এবং পুলিস দ্রুত ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনের জন্য কাজ করছে। 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটে নিউটাউনের হাতিয়ারাতে। ইকোপার্ক থানার পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনায় সিভিক পুলিস কৌশিক দেবনাথের পরিবার, তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। তাঁদের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির মানসিক চাপে ও তার পরিবারকে গালিগালাজ করায় মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার।

পরিবারের দাবি, লেকটাউন ট্রাফিকে কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার কৌশিক দেবনাথের গত এক বছর আগে নিউ টাউন হাতিয়ারার হেলা বটতলা এলাকায় বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের দাবি করতে থাকেন তাঁর স্ত্রী। যেমন কৌশিক দেবনাথকে দীর্ঘদিন ধরেই চাপ দিচ্ছিলেন যাতে তিনি বাবা, মাকে ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে থাকেন। এই দাবি মানতে পারেননি কৌশিক। এরপরই কৌশিক দেবনাথের স্ত্রী নিজের বাপেরবাড়িতে চলে যায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.