শৈশব ও জিহাদ

ভারতের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বিস্তীর্নও অঞ্চলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল -জিহাদ-আল-ইসলামী (হুজি) মাদ্রাসা পরিচালনার নামে শিশুদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে জানতে পেরেছে ওই দেশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।

কাউন্টার টেরোরিসমের এক আধিকারিক জানান এই  কাজের জন্য সহকর্মীদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করে বান্দরবানের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় জমি ইজারা নিয়েছিল হুজি। চট্টগ্রামের এই বান্দরবান ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর লাগোয়া এবং এই তথ্য চিন্তায় রেখেছে ভারতীয় সীমান্তের সুরক্ষায় নিয়োজিত সংস্থাগুলোকে । উল্লেখ্য সীমান্তবর্তী সোনামুড়া এলাকায় মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে জঙ্গি প্রশিক্ষণের খবর গোয়েন্দাদের হাতে এসে পৌঁছেছে।

ত্রিপুরার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর সাবরুম এবং বিলোনিয়ায় পাচার বাণিজ্যের রমরমা এবং এই কাজে নিযুক্ত অপরাধীরা সাধারণত মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত বলে জানা গেছে । সীমান্তে এজেন্ট সূত্রে স্থানীয় মুসলমানদের সাথে বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোর ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে বলে গোয়েন্দা  সূত্রে খবর ।

একই পদ্ধিতে পৃথিবীজুড়ে চলে শিশুদের জঙ্গি নিয়োগের কাজ । ত্রিপুরার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর সাবরুম এবং বিলোনিয়ায় পাচার বাণিজ্যের রমরমা এবং এই কাজে নিযুক্ত অপরাধীরা সাধারণত মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত বলে জানা গেছে । সীমান্তে এজেন্ট সূত্রে স্থানীয় মুসলমানদের সাথে বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোর ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে বলে গোয়েন্দা  সূত্রে খবর ।

সিটিটিসি এক কর্মকর্তা জানান , গত ৪ মার্চ রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে হুজির ‘অপারেশন উইং’ প্রধান মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম ওরফে মাহিন ওরফে মিঠু ওরফে হাসান মাইনুল ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তারের পর তারা হুজি প্রশিক্ষণ শিবিরটির অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হন এবং এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারেন।

গ্রেপ্তার হওয়া অন্য দুইজন কর্মী হলেন- শেখ সোহান স্বাদ ওরফে বড় আবদুল্লাহ ও মুরাদ হোসেন কবির যাদের উপর নিরাপত্তা সংস্থার নজর ছিল বহুদিন ধরে ।

এই তিন জনের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। তাদের দুই দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং তিন জনই এখন কারাগারে। ওই শীর্ষ কর্মকর্তা জানান ওই হুজি সদস্যরা বান্দরবানের ‘মাদ্রাসা’টিতে আট থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ভর্তি করার দায়িত্বে ছিল । চব্বিশ জন শিশুকে উদ্ধার করেছেন কর্মকর্তারা ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা বলেন, তারা ইতোমধ্যে এই শিশুদের তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দিয়েছেন। ওই শিশুদের বেশিরভাগই পার্বত্য এলাকায় শ্রমিকের কাজ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.