সাইবার অপরাধ মাত্রা ছাড়াচ্ছে দেশে। সুরক্ষা বলয় ভেঙে বিশ্বের অন্যতম বড় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপেও হানা দিয়েছে হ্যাকাররা।
নজরদারি সফটওয়্যারের নিশানায় বিশ্বের তাবড় রাজনীতিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী থেকে সমাজকর্মী। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড বুরো (এনসিআরবি)-র রিপোর্ট বলছে গত বছরের তুলনায় কার্যত কয়েক গুণ বেড়েছে সাইবার অপরাধের ঘটনা। দেশে সাইবার সুরক্ষা মজবুত করাটাই এখন অন্যতম বড় লক্ষ্য সরকারের। তাই আলাদা আলাদা নয়, সমস্ত সাইবার এজেন্সিগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
এনসিআরবি-র তথ্য বলছে, দেশে ২০১৬ সালে যেখানে ১২,৩১৭টি সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, সেখানে ২০১৭ সালে নথিভুক্ত হয়েছে ২১,৭৯৬টি অভিযোগ। সেগুলির মধ্যে সাইবার জালিয়াতির অভিযোগ ১২,২১৩টি। অনলাইন ব্যবহার করে যৌন হেনস্থার ঘটনাও কম নয়। মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, কলকাতা এই চারটি মহানগরে সাইবার অপরাধের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরেই দেশের বৃহত্তম তামিলনাড়ুর কুদানকুলাম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে হামলা চালিয়েছিল হ্যাকররা। অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিস্টেমকে তছনছ করে দিয়েছিল।
বর্তমানে দেশের সবকটি বড় মন্ত্রকের আলাদা আলাদা সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ রয়েছে। যেমন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অরগ্যানাইজেশনের নিজস্ব সাইবার এজেন্সি রয়েছে। বিশেষ করে কম্পিউটার ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম, ন্যাশনাল ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচর, ন্যাশনাল সাইবার কো-অর্ডিনেটর সেন্টারের মতো এজেন্সিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই মুহূর্তে সরকারের হাতে রয়েছে ন্যাশনাল সাইবারক্রাইম থ্রেট অ্যানালিটিক্স ইউনিট, ন্যাশনাল সাইবারক্রাইম ফরেন্সিক ল্যাবোরেটরি এবং সাইবারক্রাইম ইকোসিস্টেম ম্যানেজমেন্ট ইউনিট। সব এজেন্সিকে একত্রে নিয়ে আসার বিশেষ রুট ম্যাপ তৈরি করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি কো-অর্ডিনেটর, লেফট্যানেন্ট জেনারেল রাজেশ পন্থকে।