আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই ভারতের প্রত্যেক গরীব পরিবার গুলির জন্য তৈরি করে দেওয়া হবে পাকা বাড়ি। সবার মাথার উপরে থাকবে ছাদ। শনিবার লখনউ’এর বিজেপি’র একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাধারণ মানুষের উদ্দ্যেশ্যে এই ঘোষণা করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে সারা ভারতে একটিও পরিবার থাকবে না যাদের মাথার উপর ছাদ নেই।
শুধু তাই নয়, রাজনাথ সিং আরও জানান, ২০২২ সালের মধ্যে প্রত্যেক ভারতীয় পরিবারের জন্য পাকা বাড়ির ব্যবস্থার পাশাপাশি ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে ট্যাপের জলের সুবিধা। বর্তমানে সেই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের সরকার ইতিমধ্যে চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা পাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয় সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ জনও নিতে পারবেন।
শনিবারের এই অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিং’এর মুখে শোনা গেল দলীয় কর্মী ও নেতাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপনের বার্তা। তিনি এদিন বলেন, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর ফের ২০১৯ সালে ব্যাপক মার্জিনে বিরোধী দলগুলিকে টেক্কা দিয়ে বিজেপি’র ফের দিল্লির মসনদ দখল করার পিছনে দলের নেতা কর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে বিজেপি যেখানে মাত্র ২৮২ টি আসন লাভ করেছিল সেখানে পাঁচ বছর পর ৩০৩ টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির এই অভূতপূর্ব সাফল্যের পিছনে তিনি প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন জনদরদি কাজকর্মের কথায় উল্লেখ করেছেন।
শনিবারের ওই সভায় রাজনাথ সিং প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। পাকিস্তান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি ইমরানের দেশকে জঙ্গি মজুতের কারখানা বলে তুলধোনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যেখানে বিশ্বের সমস্ত দেশ ভারতের সঙ্গে পা মিলিয়ে কাজ করতে চাইছে সেখানে আমাদেরই প্রতিবেশী একটি দেশ জঙ্গিদের নিয়ে ব্যবসা চালাতে শুরু করেছে’। তিনি আরও বলেন, যে কোনও জায়গায় সন্ত্রাসবাদ যখন শিল্পে পরিণত হয় তখন সেখানে অন্যান্য ব্যবসাগুলি নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়।
রাজনাথ সিং এদিন আরও যোগকরে বলেন, আসন্ন প্রতিরক্ষা করিডোরটি অনেকগুলি শিল্প স্থাপনের দিকে পরিচালিত করবে যার ফলশ্রুতিতে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ছাড়াও শনিবারের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিজেপি’র সাংসদ অশোক বাজপাই, বিধায়ক ডাঃ নীরজ বোরা প্রমুখ।