আমি মানুষ।হিন্দু আমার ধর্ম।এই ধর্মকে আমি ভালোবাসি।আমার ভালোবাসাটা এক জায়গাতেই কেন্দ্রীভূত।আমার স্নায়ুর প্রধান স্নায়ু ই আমাকে চিনতে শিখিয়েছে আমি জন্মাবার পরে শঙ্খ ধ্বনী দিয়ে।এই পৃথিবীতে আমরা জন্মাই দেবদেবী হয়ে।যা আমার সনাতন আমায় শেখায় তাই আমি শিখি।সন্তান জন্মালে আমরা একে অপরকে মিষ্টি মুখ করাই এইভাবেই আমাদের সম্পর্ক টা স্থাপন হয়। সেই রকম ভাবে যখন আমরা পূজোতে বসি তখন ও আমরা শঙ্খ ধ্বনী দিয়েই শুরু করি;প্রসাদ দিয়ে ভগবানের কাছে নিজের বাড়ির সদস্য এবং সে খাওয়ার খাবে এমন টা আমরা করি।আমরা সকাল শুরু করি প্রনাম দিয়ে যে যার মতো করে নিজ আরাধ্য দেবতাকে প্রনাম করি।গুরুত্বপূর্ন কাজ ও জীবনের জরুরী ও প্রয়জনীয় কাজ ও মুহূর্তগুলোকে অনুভূতিপ্রবন করার জন্য ঈশ্বর কে প্রনাম;মানসিক ভাবে জানান দেওয়ার সাথে সাথে গুরুজনদের প্রনাম ও ছোটোদের কে আদর ভালোবাসা ও আনন্দ দানের মাধ্যমেই করে থাকি।
এই অনুধাবন আমি আমার জীবন দিয়ে ই করেছি;এর জন্য আমাকে আলাদা করে আমাকে কোনো পুস্তক পাঠ করতে হয়নি। এই শিক্ষা আমার সমাজের সব্বাই কেই করতে দেখেছি।সেইখান থেকেই আমি নিজেকে চিনতে শিখেছি যে আমি খালি একজন মানুষ নই আমার নিজস্বতা আমার ধর্মের অন্তর্নিহিত অর্থেই সমাহিত।আমি অধম কিম্বা উত্তম সেই বিষয়ে কোনো অনুভূতি লাভ করিনি এখনো,সমাজ আমাকে যা বলে আমি তাই ই।
কিন্তু,এমত অবস্থাতে ও আমি অন্য ধর্ম কে সম্মান করি কিন্তু ভালোবাসি নিজের ধর্মকে কারন ওটা আমার নিজের;ঠিক যেমন আমার নিজের ছেলে,স্বামী,বাবা মা পরিবারবর্গ ইত্যাদি।ভালোবাসা টা ভালোবাসাই সেটা কে পরিত্যাগ করা মানেই নিঃশেষিত মৃত্যূর দ্বার দর্শন করা।
মানুষ হিসেবে মানুষের প্রতি সম্মান টা করতে জানতে পারাটাই আমাকে অধম বা উত্তম প্রমান করবে সাথে নিজের প্রতি ভালোবাসা যা কিছু আমার একান্ত আমার নিজের।
আসলে সবাই হয়তো সবাইকেই সম্মান করেন ঠিক আমার ই মতো;কিন্তু মূল ষড়যন্ত্রের পরিকাঠামো রচনা করে গিয়েছেন কিছু কনর্ভাটাররা।যাদের আমরা সমাজের বৃহৎ মুখ হিসেবে তাদের কর্মের মাপকাঠি দিয়ে বিচার করেছি।আসলে তাদের ভেতরে যদি এই কনভারশান করিয়ে আত্মস্থ করার প্রবনতা না থাকতো তাহলে তাদের প্রনাম করতাম।ছোটোবেলায় বুঝতাম না তাই এমন ভাবতাম।আসলে পরিনত হওয়ার পরে ই পরিনত করতে সাহায্য করেছে যারা তারাই ক্ষত তৈরী করেছে,সেই কারনে ই আজ এতো গুলো কথা উগরে দিয়েছি।
কনভারশান ও রাজনীতি করনে ব্যবসা জড়িয়ে পড়ে এর ফলে একজন মানুষ নিজের ধর্ম নিয়ে আবেগে ভালোবাসায় আত্মমর্যদাতে বাঁচতে ই পারে না।
শত্রু সে যে তোমার সাবলীলতাকে ভুলিয়ে তোমাকে যাষ্ট একটা প্রানহীন পুতুল বানিয়ে দিয়েছে।
সংগৃহিত