দেশে ২৪ ঘন্টায় ফের ছড়াল সংক্রমণ। একদিনে আবার আক্রান্ত হলেন ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ। সোমবারের হিসেবে আরও মৃত্যু হল ৬৫৪ জনের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ৯৮৮। খুশির সংবাদ হল, দেশে অ্যাক্টিভ কেসের প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যায় মানুষ করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ভারতে মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা ৯ লক্ষ ৫২ হাজারেরও বেশি।
তবে শুধু সংক্রামিত না। দেশে লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬৫৪ জনের। যারফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪২৫।
দেশে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে, করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে প্রবল ঔৎসুক্য ধরা পড়ছে জনমনে। অন্যদিকে করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আসলে তা বিতরণ করা হবে কেন্দ্রের মাধ্যমেই। কোনও বেসরকারি সংস্থার হাতে এর সরবরাহ ও বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হবে না। সোমবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে এই তথ্য জানিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট।
ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার পর খুব তাড়াতাড়ি যাতে সাধারণ মানুষের কাছে তা পৌঁছয়, সেই কারণে তৈরি করা হচ্ছে সাপ্লাই চেন বা বিশেষ সরবরাহ প্রক্রিয়া। এর পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। তবে পরের বছরের আগে ভারতের বাজারে করোনার ভ্যাকসিন আসবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আতঙ্কের আবহেই আশা জাগিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ‘ভ্যাকসিন’-এর প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালে আশানুরূপ ফল মিলেছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ফল আশানুরূপ হলেই এই ভ্যাকসিনটির উৎপাদন শুরু করবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।