কেন্দ্র নিরাপত্তা না দিলে পুলিশই হয়ত ধনকরকে মেরে ফেলতে পারে, আশঙ্কা বিজেপি সাংসদের

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। এই ইস্যুতেই এবার মুখ খুললেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে পুলিশের শাসন চলছে, এখানে কেঊ সুরক্ষিত নয়।

বৃহস্পতিবার গান্ধী সংকল্প যাত্রার তৃতীয়দিনে টিটাগড় থেকে বারাকপুর ষ্টেশন পর্যন্ত চলে গান্ধীসংকল্প যাত্রা। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের অর্জুন সিং জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গে পুলিশের শাসন চলছে। এখানে কেউ সুরক্ষিত নেই। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি সকলেই পশ্চিমবঙ্গে এলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিয়ে যাতায়াত করেন। রাজ্যপাল জগদীশ ধনকরকে কেন্দ্র যদি নিরাপত্তা না দেয়, পুলিশ ওনাকে হয়ত মেরে দিতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে কোন ঠিক নেই, এখানে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। পুলিশের শাসন চলছে।”

হঠাৎ কেন রাজ্যপালের নিরাপত্তায় এভাবে সিআরপিএফ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, তাহলে কি রাজ্য প্রশাসনের নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি রয়েছে? সেই কারণেই কি এবার এই সিদ্ধান্ত? বর্তমানে রাজ্যপালের নিরাপত্তায় রয়েছে কলকাতা পুলিশ৷

রাজভবনের অনুমতি পেলেই রাজ্যপালের জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷

সূত্রের খবর, যাদবপুর-কাণ্ডের পরেই রাজ্যপালের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে আসে। খোদ রাজভবন থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে চিঠি যায় যে, রাজ্যপাল নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে রাজ্যপালের নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়৷ সিআরপিএফকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়৷ গতকাল রাজভবনে গিয়েছিলেন সিআরপিএফ এর আধিকারিকরা৷

উল্লেখ্য,প্রায় এক মাস আগে যাদবপুরকাণ্ডে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামতে হয় রাজ্যপাল জগদীশ ধনকরকে৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে কার্যত বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করলেন তিনি৷ নিজের গাড়িতে উঠিয়ে নেন বাবুলকে৷ যদিও প্রায় ঘণ্টা দেড়েক আটকে থাকার পর অবশেষে রাত আটটা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে যায় রাজ্যপালের কনভয়৷ সঙ্গে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়ও৷

এদিনের বিজেপির এই পদযাত্রায় যোগ দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ সিং। এই সংকল্প যাত্রা টিটাগড় থানার সামনে থেকে শুরু হয়ে বিটি রোড দিয়ে গিয়ে চিড়িয়ামোড় হয়ে বারাকপুর রেল স্টেশনে এসে শেষ হয়। টিটাগড় থেকে শুরু হওয়া এই সংকল্প যাত্রায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ সিং ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং, বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, টিটাগড় পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর ও নেতা বলেন মণীশ শুক্লা সহ বিজেপির অন্যান নেতৃত্বরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.