অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশ জুড়ে বিজেপি নেতৃত্ব শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নিশানায় যে তৃণমূল তা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। তাই অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে তৃণমূল নেতাদের চুপ থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। বাদ পড়েননি দলের সুপ্রিমো এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বিজেপির ন্যাশনাল জেনারেল সেক্রেটারি কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে এখনও কিছু বলেননি। তাঁর উপদেষ্টা তাঁকে যা করতে বলবেন তিনি তাই করবেন। এখন তিনি কোন সিদ্ধান্তই নিজে নেন না। তিনি উপদেষ্টা ভাড়া করেছেন, তাঁকে যা করতে বলা হয় তিনি তাই করেন।”
অযোধ্যা মামলার রায় ঘিরে রাজনৈতিক লাভ নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এটিকে কোন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে মানটে রাজি নয় বরং আমরা এই সিদ্ধান্তকে দেশের সিদ্ধান্ত মনে করি। আমি বিশ্বাস করি যে, এই বিষয়টিকে রাজনীতির মধ্যে টানা সঠিক নয়।”
অযোধ্যা ইস্যুতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে কেউই জেলা স্তরে কোথাও বিশেষ প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রশ্ন পেয়ে, পশ্চিমবঙ্গের উপভোক্তা দফতরের মন্ত্রী সাধন পান্ডে জানিয়েছেন, “দেশের সকল নাগরিক সুপ্রিম কোর্টের রায়’কে শ্রদ্ধা করে। কিছু মানুষের দুঃখ আছে, যদিও এই রায় খুবই ভালো তবে তা বিশ্বাস এবং কিছু নথি-তথ্যের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে।”
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমরা জানিও না যে মূর্তি ওখানে ছিল কি না। যখন সকলের ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে এবং সকলকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে তখন চুপ থাকাই আমাদের পক্ষে ভালো।”
বলা বাহুল্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে কোন ট্যুইট না পাওয়ার বিষয়টি যে কারোর চোখ এড়িয়ে যায়নি। তবে অযোধ্যা নিয়ে বিতর্ক এড়িয়ে চলার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, সাইক্লোন বুলবুল নিয়েও রাজ্যের মানুষদের সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি অযোধ্যা রায় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কবিতা লিখেছেন এবং নিজের বক্তব্য সহ দৃষ্টিকোণকে নিজের স্টাইলে তুলে ধরেছিলেন। যদিও বিজেপি এই কাজকে রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখেছে এবং রাজনৈতিক তকমা দিয়েছে। ভোট ব্যাংক সামলাতেই নাকি এই পদক্ষেপ, এমনটাও জানা গিয়েছে বিজেপির তরফে।