হিন্দু কাল গণনা অনুসারে আজ নববর্ষ (চৈত্র শুক্ল প্রতিপদ)। সৃষ্টি সংবৎ—১৯৭২৯৪৫১২২,কলি যুগাব্দ—৫১২২,বিক্রম সংবৎ —২০৭৭, শকাব্দ—১৯৪২ ও শ্রী কৃষ্ণ সংবৎ—৫২৪৬। সুস্বাগতম্ নববর্ষ,নমস্কার।
চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি বর্ষপ্রতিপদ নামে পরিচিত (অর্থাৎ এবছর ইংরেজী ২৫ শে মার্চ ২০২০)। ভারতের জাতীয় পঞ্জিকা অনুসারে বর্ষপ্রতিপদ ভারতীয় নববর্ষের প্রথমদিন। ভারতীয় কালগণনা প্রকৃতিদেবীর ওপর ভিত্তি করেই নিরূপিত হয়েছে। বসন্ত ঋতু প্রাকৃতিক কারণে নবজীবনের বার্তা বয়ে আনে। এই সময় প্রকৃতিও নবরূপ ধারণ করে। তাই এই দিনটি সমগ্র মানবজাতির নতুন বছরের প্রথমদিন।
🌷এই দিবসের তাৎপর্যপূর্ণ বিন্দু…..
ব্রহ্মপুরাণ মতে এই দিনেই প্রজাপতি ব্রহ্মা জগৎ সৃষ্টি করেন।
পৃথিবীতে কালগণনার প্রথম দিন।
কলিযুগাব্দের প্রারম্ভ।এইদিন থেকে কলিযুগাব্দ- ৫১২২
উজ্জয়িনীর সম্রাট অত্যাচারী শকদের পরাজিত ও বিতাড়িত করে ‘শকারি বিক্রমাদিত্য’ উপাধী গ্রহণ করে “বিক্রম সম্বত্” প্রবর্তন করেন। এইদিন থেকে শুরু বিক্রম সম্বত্- ২০৭৭
ভগবান রামচন্দ্রের রাজ্যাভিষেক দিবস।
ধর্মরাজ্য স্থাপনকারী ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরের রাজ্যাভিষেক।
শক্তি আরাধনায় নবরাত্রি’র সূচনা দিবস।
এই দিন থেকে যশ, পরাক্রম ও সিদ্ধিলাভের জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষ ন’দিন ধরে দেবীদুর্গার আরাধনা করেন।
এই দিবসে আর্যসমাজে’র প্রতিষ্ঠা করেন মহর্ষি দয়ানন্দ।
বিধর্মী মানুষদের শুদ্ধির মাধ্যমে স্বধর্মে ফিরিয়ে আনার মহান ব্রত পালন করে চলেছে এই আর্যসমাজ।
সিন্ধু প্রদেশের সমাজ রক্ষক সন্ত ঝুলেলালের জন্মতিথি।
দ্বিতীয় শিখগুরু অঙ্গদদেবের জন্মতিথি।
অন্ধ্রপ্রদেশের বীর রাজা শালিবাহন শকদের পরাজিত ও বিতাড়িত করে “শকাব্দ“এর প্রবর্তন করেন।
এই মহান তিথিতে সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার কেশব বলীরাম হেডগেওয়ার জন্ম গ্রহন করেন।
তাই সকল ভারতীয়দের কাছেই এই দিনটি অত্যন্ত মহত্বপূর্ণ। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ইংরেজী কালগণনার প্রথম দিনকে নিয়ে মাতামাতি করতে গিয়ে ভারতবাসী জ্যোতির্বিজ্ঞানের ওপর প্রতিষ্ঠিত সনাতনী নববর্ষকে বর্তমান গুরুত্বহীন করে ফেলেছে। অতএব সনাতন সংস্কৃতির বাহক আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব এই দিনটি যথোচিত মর্যাদার সঙ্গে পালন করা।