সম্প্রতি নরওয়েতে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ফাইজার-এন বায়োটেক নির্মিত করোনার টিকার জেরে। প্রায় একই ধরণের সমস্যা এল ভারতেও। দেশীয় সংস্থা ভারত বায়টেকের তৈরি করোনার টিকা কোভ্যাক্সিন নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে। যার জেরে ভারত বায়োটেক জানিয়ে দিল, যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম ও যাঁদের অন্য একাধিক ওষুধ খেতে হয়, তাঁদের কোভ্যাক্সিন নেওয়ার দরকার নেই। এই নিয়ে একটি তথ্যপত্র বা ফ্যাক্ট শিট প্রকাশ করেছে ভারত বায়োটেক।
করোনা টিকা গ্রহনের তৃতীয় দিন ছিল সোমবার। ভারতে ইতিমধ্যে প্রতিষেধক নিয়েছে ৩.৮ লক্ষ মানুষ। তার মধ্যে ৫৮০ জনের শরীরে পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা যাচ্ছে কারোর শরীরে এলার্জি দেখা যাচ্ছে কারোর আবার বমি বমি ভাব। মূলত গলা বা মুখ ফুলে যাচ্ছে, শরীরে র্যাশ বের হচ্ছে। সেই সঙ্গে একটা ঝিমুনি বা দুর্বলতাও থাকছে কোভ্যাক্সিন নেওয়ার পর। এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আর মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। যদিও সরকারি সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, কোভ্যাক্সিনের কারণে কারোর মৃত্যু হয়নি। তাঁদের মৃত্যু হয়েছে অন্য শারীরিক অসুস্থতায়।
গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ভারত বায়টেক জানাচ্ছে, কোভ্যাক্সিন নেওয়ার বিষয়ে সাবধান হতে হবে। বিশেষ করে যাদের শারীরিক অক্ষমতা আছে কিংবা পুরোনো রোগ আছে বা যারা নিয়মিত ওষুধ খান। আবার যারা রক্তপাত জনিত সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও সতর্কতা আবশ্যিক। সুগার, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি সমস্যা বা ক্যাসারের মতো রোগ এবং বিশেষ করে যাদের নিয়মিত হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় তাদের এই প্রতিষেধক খুব একটা কাজ করবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অপরদিকে ভারত বায়োটেক জানাচ্ছে, ‘সামান্য একটা ঝুঁকি থাকছে কোভ্যাক্সিন নেওয়ার পর, সেটা অ্যালার্জির’। তবে যারা এই টিকা নিয়েছেন তাঁদের গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
2021-01-19