চল্লিশ দিন টানা শুনানির পর ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় অযোধ্যা মামলার রায় দেবে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। সেই রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। দেখে নিন ঐতিহাসিক রায়ের কিছু বিষয়-
- অযোধ্যায় মসজিদ কোনও খালি জমির উপর নির্মিত হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, পুরাতত্ত্ব বিভাগ তাদের যে রিপোর্টে জানিয়েছিল, ওই বিতর্কিত জমিতে তার আগে একটি কাঠামো ছিল। যা সম্ভবত দ্বাদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল।
- মসজিদ নির্মাণের জন্য বিতর্কিত স্থান থেকে দূরে পাঁচ একর জমি দিতে হবে সরকারকে। যাতে একটি ভব্য মসজিদ সেখানে গড়ে উঠতে পারে।
- বিতর্কিত জমির মালিকানা নিয়ে শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে বলে রাম লালা বিরাজমান কোনও আইনি ব্যক্তি নয়। নির্মোহী আখাড়াও তাই জমির মালিকানা দাবি করতে পারে না। তারা কেবল রক্ষণাবেক্ষণ করত।
- আপাতত জমির মালিকানা যাবে সরকারের হাতে। সরকার তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্টি বোর্ড তৈরি করবে।
- বিতর্কিত জমির ভিতরের চত্বর ট্রাস্টি বোর্ডের হাতে তুলে দিতে হবে। ওই ট্রাস্টি বোর্ডই ঠিক করবে তারা সেখানে কী নির্মাণ করবে।
- বিতর্কিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে হবে সরকারকেই।
- রাম মন্দির ন্যাস কমিটির ভূমিকাকেও গুরুত্ব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
- জমির মালিকানা নিয়ে নির্মোহী আখাড়ার দাবি খারিজ করলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ প্রস্তাবিত ট্রাস্টের সদস্য করতে হবে তাদের।
- প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায় হল সর্বসম্মত। রায় নিয়ে পাঁচ জন বিচারপতি সহমত হয়েছেন।