২০২২ সালে বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা শীতকালীন অলিম্পিকের কূটনৈতিক বয়কটের ঘোষণা আমেরিকা আগেই করেছিল। এবার সেই পছে হেঁটে অস্ট্রেলিয়াও জানিয়ে দিল যে আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিকে কোনও আধিকারির পাঠাবে না তারা। এই বিষযয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। উল্লেখ্য, পারমাণবিক শক্তিধর সাবমেরিন কেনা থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিদেশ নীতি সংক্রান্ত আইনে চিনের হস্তক্ষেপের চেষ্টা এবং একাধিক ইস্যুতে দুই দেশের মতান্তরের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যানবেরা।
এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থের জন্য এই সিদ্ধান্ত। আমরা যে শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড়িয়েছিলাম তা থেকে অস্ট্রেলিয়া পিছু হটবে না। স্পষ্টতই এটা কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয় যে আমরা বেজিং গেমসে অস্ট্রেলিয়ান কর্মকর্তাদের পাঠাব না।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, বিগত দুই বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় উত্পাদিত একাধিক পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বেজিং। বার্লি, কয়লা, তামা আকরিক, তুলা, খড়, লগ, রক লবস্টার, চিনি, ওয়াইন, গরুর মাংস, সাইট্রাস ফল, শস্য, আঙ্গুর, দুগ্ধজাত পণ্য এবং শিশুদের পণ্য- এই সবই চিনা নিষেধাজ্ঞার অধীনে। এই আবহে অস্ট্রেলিয়াও চিনা সংস্থা হুয়েইয়ের ৫জি চুক্তি স্থগিত করেছে, আবার চিনের দিকে ইঙ্গিত করে করোনাভাইরাসের উত্সস্থল নিয়ে স্বতন্ত্র তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। যাতে বেজায় খাপ্পা বেজিং।
এর আগে সোমবার হোয়াইট হাউজের তরফে জানানো হয়েছিল যে শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচার সহ একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় মাথায় রেখে চিনে অনুষ্ঠিত হতে চলা শাতকীলিন অলিম্পিক কূটনৈতিক ভাবে বয়কট করবে আমেরিকা। কোয়াডভুক্ত অস্ট্রেলিয়াও সেই পথে হাঁটায় ক্রমেই চাপ বাড়ছে চিনের উপর। যদিও এই কূটনৈতিক বয়কটের ক্ষেত্রে কোনও খেলোয়াড়কে অলিম্পিকে অংশ নেওয়া থেকে বাধা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।