বরারবই অরুণাচলের সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে ভারতের। এবার অভিযোগ চুপিসারে অরুণাচল প্রদেশের বেশ কয়েকটি জায়গার নাম বদল চিনের। সূত্রের খবর, চতুর্থ তালিকায় লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল লাগোয়া অরুণাচলের প্রায় ৩০ টি জায়গায় নাম বদল করেছে চিন। এমনিতেই অরুণাচলপ্রদেশকে ‘জাংনান’ নামে অভিহিত করেছে চিন। এবার অরুণাচলের অভ্যন্তরে থাকা ৩০টি জায়গার ‘স্ট্যান্ডার্ড নাম’-এর তালিকা প্রকাশ করেছে বেজিং।
তবে অরুণাচলপ্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে বলেই দাবি বিদেশ মন্ত্রকের। বিদশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, নাম বদলে কিছু যায় আসে না। তাতে কিছু বদলায় না। সীমান্তে প্রহরায় রয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী, তাই ভারতের এই উত্তর-পূর্ব রাজ্যের নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখেনি তারা। বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমি যদি আপনার বাড়ির নাম বদল করি, তা কি আমার হয়ে যাবে? অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি রাজ্য ছিল, আছে এবং থাকবে। নাম পরিবর্তনের কোনও প্রভাব নেই। আমাদের সেনাবাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন রয়েছে।’
এদিকে চিনের ‘স্টেট কাউন্সিল’ সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জগনান প্রদেশের ৩০ জায়গার চিনা নাম রাখা হয়েছে। এই তালিকায় ১২টি আবাসিক এলাকা, ১১টি পাহাড়, চারটি নদী, একটি সুড়ঙ্গ ও দুটি খালি এলাকার উল্লেখ আছে। কিছুদিন আগেও অরুণাচলকে ‘দক্ষিণ তিব্বত’ আখ্যা দিয়েছিল চিন। গত বছরও চিন অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু জায়গার চিনা নাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘোষণা করে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই রাজ্যে দুটি দীর্ঘ টানেলের উদ্ধোধন করেন।
এই সেলা টানেল বর্তমানে চিনের সমস্যার কারণ হয়ে উঠেছে। এরপরই চিনের বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে অরুণাচল নিয়ে বারে বারে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে প্রথম নাম বদল করেছিল চিন। তারপর ২০২১, ২০২৩ এবং ২০২৪-এও সেই ধারা জারি রেখেছে পড়শি দেশ। ভারত-চিনের কূটনৈতিক টানাপোড়েন আজকের নয়। তবে দিল্লির চিনা দূতাবাসের প্রতিনিধি মা চিয়ার বক্তব্য, কঠিন হলেও একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই ভারত-চিন সমস্যার সমাধান সম্ভব।