এশিয়া কাপের প্রস্তুতির লক্ষ্যে বেঙ্গালুরুর আলুরে বিশেষ শিবিরে জড়ো হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ় খেলে ফেরার পর বেশ কিছু দিন বিশ্রাম পেয়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। কিন্তু বাড়িতে শান্তিতে বসে থাকতে পারেননি কেউই। বোর্ডের তরফে ১৩ দিনের বিশেষ ফিটনেস প্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছিল প্রত্যেককেই। কড়া ভাবে সেখানে লেখা নির্দেশ পালন করতে হয়েছে।
প্রথমেই কোহলিদের পুরো শরীরের পরীক্ষা করা হয়েছে। রক্তপরীক্ষাও করা হয়েছে। যাঁরা যোগ্যতামান পেরোতে পারবেন না, তাঁদের নিয়ে বিশেষ ভাবে কাজ করবেন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ট্রেনারেরা। বিশ্বকাপের বছরে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ তাঁরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় থেকে ফিরে যাঁরা আয়ারল্যান্ড সিরিজ়ে খেলেননি তাঁদের জন্যে ১৩ দিনের বিশেষ কাজ দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে কোহলি, রোহিত ছাড়াও হার্দিক পাণ্ড্য, রবীন্দ্র জাডেজা, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ রয়েছেন।
অগস্টে ৯-২২ পর্যন্ত এই ফিটনেস প্রোগ্রাম অনুসরণ করতে হয়েছে কোহলিদের। মাঝে এক দিনের বিরতি ছিল। কেউ যাতে চোট না পান তার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত। এনসিএ-এর ফিজিয়োরা আলোচনা করেই এই প্রোগ্রাম তৈরি করেছিলেন। শুধু শারীরিক অনুশীলন নয়, খেলোয়াড়দের মাথা ঘামাতে হয়েছে ডায়েট নিয়েও। শক্তি বাড়ানো, কাঁধের জোর বাড়ানো এবং পেশির শক্তি বাড়ানোর উপর বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেককে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রোটিন খেতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি জিম, হাঁটা, দৌড় এবং সাঁতার কাটা ছিল। বোর্ডের এক আধিকারিক বলেছেন, “এটা বিশেষ প্রোগ্রাম। আমরা চাই পরের দু’মাস ওরা পুরোপুরি ফিট থাকুক। কে সেই প্রোগ্রাম অনুসরণ করেছে তা ফিজিয়োরা দেখলেই বুঝতে পারবেন।”
গত কয়েক বছরে বড় প্রতিযোগিতার আগে ভারতীয় দলে চোট-আঘাত নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ছিটকে যান যশপ্রীত বুমরা। কেএল রাহুল এবং শ্রেয়স আয়ারের মতো ক্রিকেটারেরা সবে চোট সারিয়ে ফিরেছেন।