#রাম_রাজ

#পর্ব_১

তপঃ সাধ্যায়নিরতং তপস্বী বান্ধিদাং বরম্।
নারদং পরিপপ্রচ্ছ বাল্মীকিমুনিপুঙ্গবম্॥ 

অর্থাৎ, মহৰ্ষি বাল্মীকি তপোনিরত স্বাধ্যায়-সম্পন্ন বেদবিদদিগের অগ্রগণ্য মুনিবর নারদকে সম্বোধন করলেন।

নারদের নিকট বাল্মীকির জিজ্ঞাস্য ছিল সম্প্রতিকালে লোকে সর্বগুণে বিভূষিত শ্রেষ্ঠ কে?

উত্তরে নারদ রামের পরিচয় তথা জীবন বৃত্তান্ত শোনালেন।

কথোপকথন শেষে নারদ বিদায় নিলে বাল্মীকি শিষ্য ভরদ্বাজকে সঙ্গে নিয়ে অবগাহনের উদ্দেশ্যে জাহ্নবীর অদূরে তমসায় উপনীত হয়ে ভরদ্বাজকে কলস রেখে বল্কল দিতে বললেন। বল্কল নিয়ে তমসার বনে বিচরণকালে বাল্মীকি সুরতাসক্ত ক্ৰৌঞ্চমিথুন দেখলেন। হেনকালে অদৃশ্য ব্যাধ কর্তৃক ক্ৰৌঞ্চ নিহত হলে শোকাভিভূত বাল্মীকির কণ্ঠ হতে উদ্‌গীত হল,


মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমগমঃ শাশ্বতীঃ সমাঃ।
যৎ ক্ৰৌঞ্চমিথুনাদেকমবধীঃ কামমোহিতম্॥

এই শ্লোকটি আদিশ্লোক হিসাবে গণ্য হয়ে আসছে। যদিও এটি রামায়ণের প্রথম কাণ্ডের দ্বিতীয় সর্গের পঞ্চদশতম শ্লোক। এই শ্লোকের প্রচলিত আক্ষরিক অর্থ, ‘রে নিষাদ! যেহেতু তুই, এই ক্ৰৌঞ্চমিথুনমধ্যে কামমোহিত ক্ৰৌঞ্চকে বধ করিয়াছিস, অতএব তুই চিরকাল প্রতিষ্ঠা লাভ করিবি না।‘

শ্লোক উদ্‌গীত হওয়ার পর বাল্মীকি শিষ্যকে বললেন,—‘এই চতুস্পাদবদ্ধ, প্রতিপদে সমানাক্ষর ও বীণালয়-সমন্বিত বাক্য, শোক সময়ে আমার মুখ হইতে নিগত হইয়াছে, অতএব ইহা শ্লোকই হোক।’

অতঃপর অবগাহনান্তে এই বিষয়ে চিন্তা করতে করতে বাল্মীকি আশ্রমে ফিরলে ব্রহ্মা উপস্থিত হন।

ব্ৰহ্মার উপস্থিতিতে আত্মমগ্ন বাল্মীকি ঐ শ্লোক উচ্চারণ করলে ব্ৰহ্মা এটি শ্লোক হিসাবে স্বীকার করে নিয়ে বাল্মীকিকে এইভাবে রামকথা রচনা করার নির্দেশ দিয়ে বর দিলেন বাল্মীকি রামের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সকল প্রকাশ্য ও রহস্য তথ্য অবগত হবে।

Etruscan  Rama

এখানে লক্ষণীয় যে বাল্মীকি প্রথম নারদের নিকট রামকথা অবগত হয়েছিলেন। নারদের বিবৃত কাহিনীই উত্তরকাণ্ড বাদে বাকি ছয়টি কাণ্ডে বাল্মীকি বিস্তারিত করেছেন।ভগবন ত্রিভুবন তোমাদের প্রত্যক্ষ বিরাজে -কহ মোরে , কার নাম অমর বীণার ছন্দে বাজে ।কহ মোরে , বীর্য কার ক্ষমারে করে না অতিক্রম ,কাহার চরিত্র ঘেরি সুকঠিন ধর্মের নিয়ম ধরেছে সুন্দর কান্তি মানিক্যর অঙ্গদের মত, মহঐশ্বর্য নম্র, মহাদৈনে কে হয়নি নত,সম্পদ কে থাকে ভয়ে, বিপদে কে একান্ত নির্ভীক, কি পেয়েছে সবচেয়ে, কে দিয়েছে তার অধিক ।কে লয়েছে নিজের শিরে রাজ্য ভালে মুকুটের সম সবিনয় সগৌরবে ধরা মাঝে দুঃখ মহত্তম- কহ মোরে , সর্বদর্শী হে দেবর্ষি ,তার পূণ্য নাম। “

The 6000 Year old Rama and Hanuman carvings in Silemania, Iraq

রামায়ণের রাম যে কেবল ভারতবর্ষের বা হিন্দু জন জীবনে দ্রবীভূত এমন নয়। ভারতের বাইরেও বহু দেশে রামায়ণের মহিমা পরিব্যাপ্ত লাভ করেছে। শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া , থাইল্যান্ড ,কম্বোডিয়া ,লাওস , ফিলিপিন,  ভিয়েতনাম,  জাপান পর্যন্ত রাম রামায়ন সুবিস্তৃত।রাম ও রামায়ন ভারতীয়দের রক্তে মিশে আছে। তাই কালে কালে যুগ যুগে ভারতবর্ষ ও বৃহত্তর ভারতবর্ষে রামকথা শত ধারায় বর্তমান।  তাই ভারতবর্ষের সব প্রদেশেই রচিত হয়েছে একটি করে প্রাদেশিক রামায়ণ। বাল্মিকী রামায়ণ হচ্ছে প্রকৃত রামায়ণ। কিন্তু বাল্মিকী রামায়ণকে মূলধন করে  আরো এক দঙ্গল রামায়ণ রচিত হয়েছে , যেমন – মহারামায়ন, বশিষ্ট্ঠ রামায়ণ, অদ্ভুত রামায়ণ, আধ্যাত্ম রামায়ন, ভারত রামায়ণের মত ভিন্ন ভিন্ন রামায়ন।

Rama at south and south east Asian country

 স্বদেশে কবিদের হাতে পড়ে  মূল রামায়ন বারবার পরিবর্তিত হয়েছে ।সেই বদল থেকে মূল বাল্মিকী রামায়ণের স্বরূপটিকে ফিরিয়ে আনার সহজ কাজ নয় ।আর এই রকম একটি প্রাদেশিক রামায়ণ নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করব ।

স্বদেশে বিভিন্ন প্রাদেশিক কবিদের হাতে পড়ে রামায়ন আশ্চর্য রূপ নিয়েছে, যে রামায়ণ কখনো বাল্মিকী রচনা করেছেন এ কথা অনেকে জানেন না। তাদের মূলধন যেহেতু অনেক ক্ষেত্রেই ভক্তিরস, সেখানে রাজনীতি, ধর্মনীতি , সমাজনীতির কোনো স্থান নেই। জনগণ  আপন মুখের ভাষায় এমন আকুল করা কাহিনী পেয়ে বড়ই ব্যাকুল হয়েছেন। রামায়ণের মুখ্য চরিত্র গুলো যে চেহারা যেভাবে বাল্মীকির রামায়নে ছিল তার ওপর প্রাদেশিক রংবেরঙের টান পড়ায় চরিত্রগুলো অনেক সময় পাল্টে গেছে। মূলত চরিত্রগুলো কি ছিল?… তাই হারিয়ে গেছে ….


 ছোট বেলায় বাড়িতে ঠাকুমা প্রতি সন্ধ্যায় রামায়ন , মহাভারত বা গীতা কোনো না কোনো মহাধর্মগ্রন্থ সুর করে পড়তেন। বাড়িতে তখন ইলেট্রিক আলো সভা এসেছে। সেও না আসার মতই। হ্যারিকেন বা লম্প জ্বেলে ঠাকুমার সুর করে গান গেয়ে  পড়া সেসব শ্লোক আজও আমার কানে বাজে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় নস্টালজিক হয়ে পড়ি। ঠাকুমা বিয়ের পর বাংলা পড়তে শিখেছিলেন। সেও এক গল্প অন্য দিন বলব। আজকে কেবল ভগবান শ্রী রাম নিয়ে বলব। ঠাকুর ঘরে তেপায়ার উপরে কৃত্তিবাসী রামায়ন রাখা থাকত। আমার চোখ চলে যেত কৃত্তিবাসী রামায়ণের প্রচ্ছদ পটে আঁকা রাম সীতা লক্ষ্মণের বনবাসের ছবির উপরে। জ্বল জ্বল করছেন রাম, লক্ষ্মণ তাঁদের সুঠাম শরীর। মাঝখানে বনলক্ষ্মীর ন্যায় সীতা চলেছেন বনের পথ অতিক্রম করে। মনটা অন্যমনস্ক হয়ে যেত। 


ঠাকুমার স্নেহ ভরা ডাকে আমার ঘোর ভাঙত। ঠাকুমা বলতেন “কি দেখছিস রে ওতে? মাধুরী যেমন আছে ওতে তেমনই আছে দেহ। তোর আমার শরীর সব রামায়ণের মূল চরিত্রগুলির পাতায় পাতায় লেখা আছে রে। আমাদের এই যে দেহভান্ড রামায়ণ।ও কেবল মহাকাব্য বা গ্রন্থ নাকি রে ? ও হল আধ্যাত্মিকতার স্তর। সাধক শরীরের প্রয়োগ । রামায়ণ হল পরীক্ষিত সত্য সাধকের।”
সত্যিই রামায়ণ কেমন করে পরীক্ষিত সত্য হয় সাধকের? রাম কে ? সীতা ,লক্ষ্মণ , রাবণ এঁরা কারা? 
রামায়নের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন ভগবান শ্রী রাম। রামই হলেন শরীর। কিন্তু তিনি কি ভাবে হলেন এই দেহভান্ড? রাম হলেন প্রভুত্ব শক্তি আমাদের শরীরে। কিন্তু প্রভুত্ব তো সাধক শরীরকে এক মাত্র কুলকুন্ডলিনীশক্তি করে ? রাম রামায়ণ বা রামকথা যদি দেহ হয় সাধকের তাহলে সেখানে কুন্ডলিনীর জাগরণ থাকবে না তাও কি হয়? কুন্ডলিনী বা শক্তির আধার হলেন নারী।শক্তির আধার রামের কেন্দ্রে। আধ্যাত্মিকতা হল অতীন্দ্রিয় দর্শনের রূপ।যে দর্শন সাধকের মনে সূক্ষ্ম দর্শন ঘটে। তার জন্য আগে স্থূলত্ব বিনাশের দরকার হয়। তার একমাত্র উপায় হল যোগ। মানব দেহে পরমাত্মার বিরাজের কথা আমাদের ধর্ম যে বলছে , সব শরীরে তাঁর বাস। যোগ সাধনায় না এলে তাঁকে উপলব্ধি করা বা দর্শন যায় না।ঈশ্বর তো দেহভান্ডে। রামায়ণের চরিত্র গুলি আসলে প্রতীক।


ভগবান শ্রী রাম কিসের প্রতীক?রামায়ণের মূল বা কন্দ্রিয় ব্যক্তিত্ব হলেন রাম। তাঁকে তেমনই আধ্যাত্ববাদের , যোগে তাঁকে যোগ শরীর হিসাবে ধরা যায়।কেমন করে? ভগবান শ্রী রাম হলেন আমাদের দেহভান্ড ও তাঁর মধ্যে থাকা পরমাত্মা। সেখানে ৭২০০০ নাড়ির অবস্থানের কথা বলছে যোগশাস্ত্র। সাধক শরীর রাম রূপে এই নাড়িগুলির উপরে প্রভুত্ব ফলাচ্ছেন। এই প্রভুত্ব তিনি করছেন নিজের শরীরের উপর। তাই তিনিই হলেন রাজা । এই প্রভুত্ব বা কর্তৃত্বের নিমিত্তই তিনি হলেন #রাজা_রাম।

Triad of Egyptian God : Amun [ Ramun or Rama ] , Mut [ Wife of Amun – Mata Sita ] , Khonsu [ Lakhsmana]


 তাহলে এবার শরীরে লক্ষ্মণের অস্তিত্ব কিভাবে আসবে? নাড়ি জাগবে কি করে? যোগচর্চার মাধ্যমে…যোগচর্চার জন্য চাই গভীর মনঃসংযোগ। এই মনঃসংযোগই হল লক্ষ্মণ। কোনো বিষয় মনঃসংযোগ না থাকলে সিদ্ধি বা সেই বিষয় শক্তিলাভ হবে কি করে? মনঃসংযোগ না হলে কেমন করে রাম বা দেহকেন্দ্রীয় শক্তি কুন্ডলিনী জাগবে? সেই পরম কুন্ডলিনী শক্তি হলেন দেবী সীতা। 
লক্ষ্মণের একটিমাত্র উদ্দেশ্য – রামের সঙ্গে সঙ্গে থাকা। রাম , সেই পরমাত্মা। এই পরমাত্মা তো যোগ সাধনার অর্জিত ফলাফল মহাশূন্য ,অন্তত শূন্য। এই শূন্যতা এনে দিতে পারেন লক্ষ্মণ।লক্ষ্মণ ই শরীরের প্রথম পদ্মচক্র মূলাধারকে জাগ্রত করতে পারেন। মূলাধারস্থ শক্তি হয়ে ওঠেন তখন সীতা। লক্ষ্মণের লক্ষ্য মহাশূন্যতার পথ। যেখানে পরমাত্মা রূপে অবস্থান করছেন রাম। তাঁর জন্যই তো সীতার জাগরণ। সীতাই কুন্ডলিনী রূপে জাগ্রত হন।শক্তিকে কর্ষণ করে সীতার জাগরণ। রাজা জনক হল কর্ষণ করে সীতাকে পেয়েছিলেন। সাধক তাঁর শরীরকে জনক রাজার ন্যায় কর্ষণ করেন। এর ফলেই উঠে আসেন সীতা। অর্থাৎ কুন্ডলিনী শক্তির জাগরণ হয়। 

Italian Painting at Bologna Museum


আর রাজা দশরথ? 
রাজা দশরথ হলেন সাধকের দশটি ইন্দ্রিয়।সেই ইন্দ্রিয় সাধককে পরমাত্মার জ্ঞান দান করেন। দেহভান্ড মধ্যে পরমাত্মা স্বরূপ রামের খোঁজ মেলে।তাই রাম দশরথ পুত্র ।

The 6000 Year old Rama and Hanuman carvings in Silemania, Iraq


আর রাবণ কে ?
লঙ্কার রাজা রাবণ। কিন্তু দেহভান্ডে কোথায় লঙ্কা ? কারাই বা রাবণ?
মূলাধারের যে লং বীজ সেইটা হল সাধকের লঙ্কা। সেখানে থাকেন রাবণ। আর দশমাথা? রাবণ হল অহমিকা। রাবণ হল কাম, ক্রোধ, হিংসা, অহং, লোভ, দ্বেষ, মোহ , মাৎসর্য ইত্যাদি রিপু দোষ। এগুলির ত্যাগ না করলে পরমাত্মার অনুভূতি হবে না দেহতে। এই সকল দোষ শক্তিরূপী সীতাকে বিপথে চালিত করতে চায়। সীতা হলেন সাধন শরীরের কুন্ডলিনী শক্তি । উক্ত রিপুদোষ শক্তিকে আটকে রাখতে চায়। তাকে হরণ করতে চায়। তার জন্যই যুদ্ধ হয় রাম রাবনের।সে যুদ্ধ হয় সাধক শরীরে। 
লক্ষ্মণ মনঃসংযোগ রূপে সীতাকে জাগান। শরীরের কুলকুন্ডলিনী শক্তির জাগরণ ঘটতে থাকে। শক্তি চক্র ভেদ করতে থাকে।মুলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর… এইভাবে।একটা সময় যখন সাধক কিছু শক্তি আয়ত্ত করতে পারেন তখন তাঁর অহং বোধ সৃষ্টি হয়। অনেক সময় ভক্ত শিষ্যদের মধ্যে সেই শক্তির জাগরণকলা দেখাতে থাকেন। 

ধ্যায়তো বিষয়ান্ পুংসঃ সঙ্গস্তেষূপজায়তে। 

সঙ্গাৎ সঞ্জায়তে কামঃ কামাৎ ক্রোধোহভিজায়তে।।

ক্রোধাদ্ ভবতি সম্মোহঃ সম্মোহাৎ স্মৃতিবিভ্রমঃ।

স্মৃতিভ্রংশাদ্ বুদ্ধিনাশো বুদ্ধিনাশাৎ প্রণশ্যতি।।

 ইন্দ্রিয়ের বিষয়সমূহ সম্বন্ধে চিন্তা করতে করতে মানুষের তাতে আসক্তি জন্মায়, আসক্তি থেকে কাম উৎপন্ন হয় এবং কামনা থেকে ক্রোধ উৎপন্ন হয়। ক্রোধ থেকে সম্মোহ, সম্মোহ থেকে স্মৃুতিবিভ্রম, স্মৃতিবিভ্রম থেকে বুদ্ধিনাশ এবং বুদ্ধিনাশ হওয়ার ফলে সর্বনাশ হয়। অর্থাৎ, মানুষ পুনরায় জড় জগতের অন্ধকূপে অধঃপতিত হয়।       

Pharaoh with Vaishnava Tika

 
এই দোষ রিপু গুলিকে দমনের জন্য লক্ষ্মণ মনঃসংযোগ রূপে জাগরিত হয়। যুদ্ধ বাঁধে।পরমাত্মার বিকাশে বাঁধা এলে সাধক শরীরে তিনি রাম হয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেন । লক্ষ্মণ পাশে দাঁড়ান।হনুমান আসেন রামের সহায়ক রূপে। হনুমান হলেন সাধক শরীরের প্রাণ বায়ু। প্রাণ বায়ুর সাহায্য না পেলে কুন্ডলিনী জাগবে কেমন করে? কুন্ডলিনী না জাগ্রত হলে পরমাত্মার বিকাশ হবে কি করে? হনুমান যে লঙ্কা জ্বলিয়েছিলেন তাও সাধক শরীরের প্রতীক। শরীরের তৃতীয় চক্র মণিপুরে থাকে তেজ । এই তেজেই দ্রুত কুন্ডলিনী শক্তি ঊর্ধ্বে উঠে যায়। সাধক শরীরে জন্ম হয় পরমাত্মার।


এই যে রামায়ণ , এর মধ্যস্থ আধ্যাত্ম দর্শন বা যোগ দর্শনের অনুভূতির কথা , সে তো সকল সাধু, সন্ত , মহর্ষিরা বলেন।এ যে এক Mystic experience। রামায়ণ কেবল ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহই নয় তাঁর সঙ্গে রামায়ণ আপামর ভারতবাসীর এক বিশ্বাস। সাধক বলেছেন মায়াময় এই জগতের বাইরে সূক্ষ্ম জগতের কথা। কি সেই জগৎ? 


ক্রমশঃ 
#দুর্গেশনন্দিনী
তথ্যঃ কাপালিক ,তান্ত্রিক, যোগী কথা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.